আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দীপিকা চৌহান। বয়স ৩২ বছর। পেশায় বেসরকারি ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকতা। এতো ব্যস্ততার মধ্যেও স্বামীর মঙ্গল কামনায় 'করবা চৌথের' (স্বামীর দীর্ঘ আয়ু কামনা করে উপোস থেকে চাঁদের মুখ দেখা) ব্রত রেখেছিলেন। আর সেই স্বামীই তাকে করবা চৌথের রাতে ৮তলার ফ্ল্যাটের ব্যালকনি থেকে ঠেলে ফেলে দিয়ে তাঁকে খুন করল। পরকীয়া প্রেমের কারণেই এমনটা ঘটেছে বলে অনুমান পুলিশের।
শনিবার রাতে মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের গুরুগ্রামের আনসাল ভ্যালি ভিউ সোসাইটি আবাসনে। দীপিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর স্বামী বিক্রম চৌহানকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তিনি একটি বেসরকারি সংস্থার উঁচু পদে কাজ করেন।
পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই আবাসনেরই এক বিবাহিত নারীর সঙ্গে সম্প্রতি বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন বিক্রম। নিহত দীপিকার বাবার অভিযোগ, বিক্রম-দীপিকার ফ্ল্যাটে ওই নারীর যাতায়াত ছিল। দীপিকার অনুপস্থিতিতে মাঝেমধ্যেই তিনি ফ্ল্যাটে আসতেন। তার জেরে হামেশাই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হত। দীপিকা ওই নারীর সঙ্গে সম্পর্কের প্রতিবাদ করায় মারধরও করা হতো তাঁকে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পরকীয়া সম্পর্কের এই টানাপড়েনের জেরেই স্ত্রীকে খুন করতে পারেন বিক্রম। পুলিশি হেফাজতে নিয়ে তাঁকে জেরা করে আরও তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা করছেন তদন্তকারী অফিসাররা। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।