আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বলা যায়, সিনেমার গল্পকেও হার মানিয়েছে এই ঘটনা। কারণ, বাড়িতে কেউ না থাকলে রাত হলেই বাড়িতে ঢুকছে চোরের দল। চুরি করেই পালিয়ে যাচ্ছে না। তার আগে নিজেরাই চা বানিয়ে খেয়ে নিচ্ছে। শুধু তাই নয় আবার এক প্রস্ত ঘুমিয়েও নিচ্ছে। তারপর ভোরের আলো ফোটার আগেই সমস্ত জিনিস নিয়ে চম্পট দিচ্ছে তারা। এই নতুন আদব কায়দাতেই একের পর এক চুরি হচ্ছে ভারতের জলপাইগুড়িতে।
শনিবার ভোর রাতে এই কায়দাতেই চুরির ঘটনা ঘটলো জলপাইগুড়ি শহরের লক্ষ্মণ মৌলিক সরণীতে (শিয়ালপাড়া)। খোয়া গিয়েছে আনুমানিক পাঁচ লক্ষ টাকার সোনার গহনা ও দেড় লক্ষ টাকার আসবাবপত্র।
গৃহকর্ত্রী পুতুল রায়ের অভিযোগ, রাতে বাড়িতে ঢুকে চা বানিয়ে খেয়েছে চোরের দল। তারপর বাড়ির লেপ, কম্বল, বালিশ ব্যবহার করে শীত ঘুমও দিয়েছে। ভোর হতেই পাঁচ লক্ষ টাকার সোনার গহনা ও এক লক্ষ টাকার আসবাবপত্র নিয়ে চম্পট দিয়েছে চোরের দল।
শুধু তাই নয় ওই বাড়ির এক তলায় ভাড়া থাকেন মেখলিগঞ্জের বাসিন্দা বেবি গুহ ও তাঁর মেয়ে অর্কিতা গুহ। সেই ঘরেও চুরি হয় বলে অভিযোগ। শুক্রবার বাড়িতে কেউ ছিলেন না। পুতুল দেবী কলকাতার মেয়ের বাড়িতে রয়েছেন বেশ কয়েকদিন থেকে। বুধবার ভাড়াটিয়া বেবি দেবী তাঁর মেয়েকে নিয়ে মেখলিগঞ্জে গিয়েছিলেন। শুক্রবার সকালে ফিরে এসে দেখতে পান গেটের তালা ভাঙে অবস্থায় রয়েছে। এরপর ঘরের ভিতরে ঢুকেই হতবাক তিনি। সব কিছু লণ্ডভণ্ড।
একটি আলমারি, একটি শোকেস, সহ সব কিছু লণ্ডভণ্ড হয়ে রয়েছে। মেঝেতে বিছানা পেতে রাত কাটিয়েছে চোরের দল বলে অনুমান। বিড়ি, খৈনির প্যাকেট পরে ছিল ঘরে। অন্যদিকে রান্না ঘরে চা বানিয়ে চা খেয়ে রীতিমত শৌচকর্ম সারে দলটি। এরপর সোনার গহনা ক্যাশ টাকা সহ অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে চম্পট দেয় চোরের দল বলে অনুমান।
খবর দেওয়া হয় কোতোয়ালি থানায়। পুলিশ এসে ঘটনার তদন্তে নেমেছে। সপ্তাহখানেক আগেও একই কায়দায় শহরে আরেকটি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছিল।