বৃহস্পতিবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১৯, ০৪:৫৯:৫৭

অ্যাসিডে ঝলসে গিয়েছিল মুখ, চার বছর পরে নিজের ভালবাসা খুঁজে পেলেন রেশমা!

অ্যাসিডে ঝলসে গিয়েছিল মুখ, চার বছর পরে নিজের ভালবাসা খুঁজে পেলেন রেশমা!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অ্যাসিডে ঝলসে গিয়েছিল মুখ, চার বছর পরে নিজের ভালবাসা খুঁজে পেলেন রেশমা! বছর চারেক আগে যখন অ্যাসিডে ঝলসে গিয়েছিল তাঁর মুখ, তখন দিল্লির যুবতী রেশমা খাতুন ভাবতেও পারেননি যে তাঁর জীবনে আলো জ্বলে উঠতে পারে এইভাবে আবার। দৃষ্টি হারিয়ে ফেলার সঙ্গে সঙ্গে বীভৎস মুখের আতঙ্কও তাড়া করে বেড়াতো তাঁকে। কিন্তু গত শনিবারেই জীবনের অন্যতম খুশির মুহূর্তের সাক্ষী থাকলেন তিনি। ফেসবুকের মাধ্যমে খুঁজে পেয়েছিলেন নিজের জীবনের ভালবাসা। এ বার তাঁর সঙ্গেই গাঁট ছড়ায় বাঁধা পড়লেন রেশমা। দিল্লির তিস হাজারি আদালতে অশোক কুমারের সঙ্গে বিয়ে হল অ্যাসিড আক্রান্ত যুবতী রেশমা খাতুনের।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরের রাতটা বোধহয় ভোলা সম্ভব নয় ২৩ বছরে পা রাখা রেশমার। বেশ কয়েকদিন ধরেই তাঁকে বিরক্ত করে চলায় প্রতিবাদ করেছিলেন রেশমা। তার পরেই এক দিন রাতে হঠাৎ তাঁকে রাস্তায় একা পেয়ে মুখে অ্যাসিড ছুঁড়ে দেয় সেই দুষ্কৃতি। মুখের চামড়া, মাথার চুল পুড়ে গিয়েছিল সবটাই। কিন্তু স্বপ্নগুলোকে পুড়ে যেতে দেননি তিনি। চোখের দৃষ্টি নষ্ট হয়ে গেলেও, নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখতে তিনি কখনোই ভোলেননি বলে জানিয়েছেন রেশমা।

যদিও এই জীবনের লড়াইতে ফেরত আসার স্বপ্নটা কখনোই সহজ ছিল না বলে জানিয়েছেন তিনি। কোনও জায়গাতেই অভিযোগ জানিয়ে সুরাহা পাননি তাঁর প্রতি এই অন্যায়ের। কেবল মাত্র মায়ের প্রতি ভালবাসাই সেই সময় তাঁকে বেঁচে থাকতে সাহায্য করেছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। কিছু শুভানুধ্যায়ীর প্রচেষ্টায় তার পর শুরু হয় তাঁর চিকিৎসা। যোগাযোগ হয় অ্যাসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশনের সঙ্গে। মূলত তাঁদেরই প্রচেষ্টায় গতি পায় রেশমার চিকিৎসায়। প্রায় ১৮ বার মুখে অপারেশনও হয় তাঁর। বছর দুই সম্পূর্ণ দৃষ্টিহীন থাকার পরে, কিছুটা হলেও চোখের জ্যোতিও ফিরে পান তিনি।

এর পরেই রেশমা তাঁর পড়াশোনায় মন দেন। পড়াশোনা শেষ করবার পরে নয়ডার একটি হোটেলে কাজে যোগদান করেন তিনি। কিন্তু তাঁর স্বামীর সঙ্গে কোথায় দেখা হল তাঁর? রেশমা জানিয়েছেন যে, সোশ্যাল মিডিয়াতেই তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর স্বামী অশোক কুমারের। কিছুদিন কথা বলার পর দেখাও করেন তাঁরা। প্রায় এক বছর পরে তিনি বিয়ের প্রস্তাব দেন রেশমাকে। অশোকের পরিবারও তাঁকে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করেছিল বলে জানিয়েছেন রেশমা।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে