হাইড্রোজেন বোমা ফেলার হুমকি: জং-উন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পৃথিবীতে পরমাণু বোমা ফেলার হুমকি আগে থেকেই ছিল, এবার ‘বহিরাগত শত্রুর হাত থেকে নিজের দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য’ যে কোনও সময় হাইড্রোজেন বোমা ফেলার হুমকি দিলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন। জং-উন বলেছেন , ‘‘আমাদের (উত্তর কোরিয়া) হাতে রয়েছে অত্যন্ত শক্তিশালী অস্ত্র। শুধু পরমাণু বোমা নয়, চাইলে আমরা হাইড্রোজেন বোমাও ব্যবহার করতে প্রস্তুত।’’ এছাড়া তিনি দাবি করে বলেন, ‘‘কোন দেশের উপর নির্ভর করে নয়, এইসব অস্ত্র আমরা নিজেরাই বানিয়েছে।’’ ‘দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে’ সেসব প্রয়োগ করতে বিন্দুমাত্র ইতস্তত করবেন না বলেও জানিয়েছেন তিনি। যদিও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের হাতে তাপ-পরমাণু অস্ত্র অর্থাৎ হাইড্রোজেন বোমার মতো কিছু আছে বলে মনে করেন না আমেরিকার পরমাণু বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, উত্তর কোরিয়ার নিজস্ব যা সম্পদ আছে এবং দক্ষতা, তাতে ওদের পক্ষে হাইড্রোজেন বোমা বানানো কোনও মতেই সম্ভব নয়। গোটা বিশ্বে কিম জং-উনের অতি নির্ভরযোগ্য বন্ধু বলতে পাশে রয়েছে কেবল লালচীন। সেইসঙ্গে পাকিস্তানের মতো গুটি কয়েক দেশ। ২০০৬ সালে ভূগর্ভে পরমাণু পরীক্ষা ঘটিয়ে রাষ্ট্রসংঘের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হয় উত্তর কোরিয়াকে। কিন্তু তার পরেও ২০০৯ এবং ২০১৩ সালে আবারও একই ভাবে পরমাণু পরীক্ষা চালায় দেশটি। দমনপীড়নের মাধ্যমে একনায়কতন্ত্রী শাসন চালানোর ক্ষেত্রে কিম জং-উন তার ঠাকুরদা কিম ইল-সুং এবং বাবা কিম জং-ইলের ‘সার্থক’ উত্তরসূরি। অন্যান্য কার্যকালোপে মতো উত্তর কোরিয়ার পরসানু কর্মসুচিও এতই গোপন যে, কিম জং-উনে এবং তার কিছু সাঙ্গোপাঙ্গ ছাড়া সেদেশও কেউই কিছু জানে না। তা সত্ত্বেও মার্কিন পরমাণু বিশেষজ্ঞদের মত হল, ‘আপনাতে আপনি মুগ্ধ’ উত্তর কোনিয়ার সরকার যতই বন্দুকের নলের মুখে সেদেশের মানুষকে খাটিয়ে নিংড়ে নিক, তবু তাদের পক্ষে তাপ-পরমাণু বোমা বানানো কোনও ভাবেই সম্ভব নয়। সেই সম্পদই তাদের নেই৷ এ ব্যাপারে চীনও অন্তত মুখের কথায় বাদবাকি আশ্বস্ত করেছে। চীনের তরফ ওথকে এ বিষয়ে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়া যাতে এমন কোনও হঠকারী কাজ না করে সেটা তারা দেখবে।
১১, ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমইউ