মঙ্গলবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৯, ০৪:১৫:৩৫

এবার মুখোমুখি সু চি-মিয়ানমারের সেনাবাহিনী!

 এবার মুখোমুখি সু চি-মিয়ানমারের সেনাবাহিনী!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এবার মুখোমুখি সু চি-মিয়ানমারের সেনাবাহিনী! ক্ষমতায় ফেরার পর প্রথমবারের মতো সংবিধান পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে মিয়ানমারের অং সান সু চি সরকার। দেশটির সেনাবাহিনী প্রবর্তিত সংবিধান সংশোধনের এই উদ্যোগের ফলে সু চি সরকারকে সেনাবাহিনীর মুখোমুখী অবস্থানে দাড়াতে হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার মিয়ানমার পার্লামেন্টের স্পিকার জানিয়েছেন, সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি(এনএলডি) শীঘ্রই সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব পার্লামেন্টে আনবে। এই কাজের জন্য একটি যৌথ কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেয়া হবে দলটির পক্ষ থেকে। দুই বছরেরও বেশি সময় আগে ক্ষমতায় আসার পর এনএলডি সরকারের এমন উদ্যোগ এই প্রথম। বলা হচ্ছে, ক্ষমতায় আসার পর থেকে দলটি সেনাবাহিনীর সাথে কোন ধরনের বিরোধী না গেলেও এবার সেটি হতে পারে।

২০০৮ সালে তৎকালীন সামরিক জান্তার প্রণীত সংবিধানে বর্তমানে চলছে দেশটি। এই সংবিধানকে অগণতান্ত্রিক আখ্যা দিয়ে সারা বিশ্বেই সমালোচনার ঝড়ে উঠেছিল। ওই সংবিধানে পার্লামেন্টে ২৫ শতাংশ আসন বরাদ্দ করা হয়েছে সেনাবাহিনীর জন্য। যার ফলে দেশটির আইন প্রণয়নে সেনাবাহিনীর প্রভাব থেকেই যাচ্ছে।

স্পিকার ইউ টি খুন মাইয়াত জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিকেলে সংবিধান সংশোধনের কমিটি গঠনের বিষয়ে প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে পার্লামেন্টে। ক্ষমতাসীন দলের এক এমপি এটি উত্থাপন করবেন। তারপর সেটি নিয়ে আলোচনা হবে এমপিদের মধ্যে।

এদিকে এই ঘোষণার বিরোধীতা করতে শুরু করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। তারা এই প্রস্তাবের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তারা বলছে, সংবিধান সংশোধনের কোন প্রস্তাব উত্থাপন করতে হলে অন্তত ২০ জন এমপির স্বাক্ষর প্রয়োজন।

সংবিধানে ঠিক কী ধরনের পরিবর্তন আনা হতে পারে সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি মিয়ানমারের কোন কর্মকর্তার পক্ষ থেকে। তবে দেশ পরিচালনায় সেনাবাহিনীর প্রভাব কমানো হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে