‘ইরাক থেকে তুর্কি সেনা সরানোর প্রশ্নই ওঠে না’
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্ক সরকার ইরাকে অাইএস ধ্বংস করার কাথা বলে প্রায় দেড়শ'রও বেশি সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছেন। তবে এই সেনাবাহিনী সরিয়ে নেয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এর্দোগান বলেন, ইরাকে মোতায়েন দেশটির সৈন্য আপাতত সরিয়ে নেয়ার প্রশ্নই ওঠে না। রাজধানী আংকারায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। রেডিও তেহরানের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা যায়।
এ সময়ে তিনি আবারো দাবি করেন, তার ভাষায়, বাগদাদ সরকারের অনুরোধে ইরাকের ভেতর সেনা মোতায়েন করেছে আংকারা। অবশ্য ইরাক সরকার এ ধরণের অনুরোধ করে নি বলে বারবার দাবি আসছে। এর্দোগান দাবি করেন, আইএস বিরোধী লড়াইয়ে কুর্দি পেশমারগা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেয়ার অংশ হিসেবে ইরাকে তুর্কি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পেশমারগা বাহিনী কত সদস্যকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে তার ওপর নির্ভর করে উত্তরাঞ্চলীয় ইরাকে তুর্কি সেনা মোতায়েনের সংখ্যা বাড়তে কিংবা কমতে পারে। চলতি মাসের ৪ তারিখে ইরাকে সেনা মোতায়েন করে তুরস্ক। রুশ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার পর তুরস্ক উত্তর ইরাকের নেইনাভা প্রদেশে সেনা মোতায়েন করেছে।
এদিকে, ইরাকে বিনা অনুমতিতে তুর্কি সেনা মোতায়েনের বিষয়ে আলোচনার জন্য জরুরি বৈঠকে বসতে আরব লীগের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইরাকি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এ ছাড়া, ইরাকের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা বিষয়ক সংসদীয় কমিটির প্রধান হাকিম আজ-জামালি বলেছেন, তার দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার না করলে তুরস্কের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সাহায্য চাইবে বাগদাদ। আল-আরাবি আজ-জাদিদকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। ইরাকের ভেতরে তুর্কি সেনা পাঠানোকে জামালি তার দেশের সার্বভৌমত্বের প্রকাশ্য লঙ্ঘন বলেও উল্লেখ করেন।
এর আগে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-এবাদি সেনা প্রত্যাহারের জন্য তুরস্কের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, তুর্কি সেনা প্রত্যাহার না করা হলে বিষয়টি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপন করা হবে।
১১ ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই
�