এবার মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে বৌদ্ধরাও
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ও নৃ-তাত্ত্বিক রাখাইন বিদ্রোহীদের মধ্যে গত কয়েক দিনের লড়াইয়ে শয়ে শয়ে নৃ-তাত্ত্বিক সংখ্যালঘু সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আসছেন। বান্দরবানের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে তাদের ১৩৬ জনের একটি দল বসবাস করছেন।
বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও মানবাধিকার কর্মীর বরাত দিয়ে এমন তথ্যই দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বিষয়টি নিয়ে বান্দরবান জেলার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কমান্ডার কর্নেল জহিরুল হক খান জানান, ৩৮টি বৌদ্ধ পরিবারের সদস্যরা বলেছেন- সামরিক হেলিকপ্টার থেকে হামলার ভয়ে তারা বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে এসেছেন।
সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির বিদ্রোহীদের মধ্যে গত ডিসেম্বরে সংঘর্ষে রাখাইন ও চীন রাজ্যে অন্তত পাঁচ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। বিদ্রোহীদের ধ্বংস করে দেয়ার প্রতিজ্ঞা করেছেন মিয়ানমার নেতারা। রাখাইন আর্মিরা রাখাইন রাজ্যে অধিকতর স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে বিদ্রোহ করছে।
এর আগে ২০১৭ সালের আগস্টের দিকে রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানে সাড়ে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে বেসরকারি সংগঠন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস কমিশনের সদস্য উইন থেইন বলেন, তিনি গভীর জঙ্গলের ভেতর আশ্রয়কেন্দ্রে খুমি, চো ও রাখাইন নৃ-তাত্ত্বিক গোষ্ঠীর এসব শরণার্থীকে দেখতে গিয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, কাছেই সামরিক হেলিকপ্টার ও গুলির শব্দ শুনে চীন রাজ্যের অসমতল পালিটওয়া শহরতলির দুটি গ্রাম থেকে রবি ও সোমবার এসব শরণার্থী পালিয়ে এসেছেন। ‘তাদের মধ্যে কেউ কেউ সেনাবাহিনীকে লুটপাট ও বাড়িঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেখতে দেখেছেন’।
এ পর্যন্ত গত ৪ জানুয়ারি মিয়ানমারের সীমান্ত পুলিশ ফাঁড়িতে আরকান আর্মির হামলায় অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন। আর মিয়ানমার সেনাবাহিনীও পাল্টা হামলায় একই সংখ্যক বিদ্রোহী নিহত হওয়ার দাবি করেছে।
