আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নরেন্দ্র মোদি জমানার শেষ পর্বে কাশ্মিরের পুলওয়ামায় ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছে ভারতীয় ৪৪ সেনা। আত্নঘাতী হামলার পরই এক সর্বদলীয় বৈঠকে বসছে। বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ শাসনকালে এই প্রথমবার সর্বদলীয় বৈঠক ডাকলো মোদি সরকার।
পুলওয়ামা হামলার পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে, সেই বিষয়টি নিয়েই সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে শনিবারের এই বৈঠকে। উরি, পাঠানকোট ও নাগরোতা হামলার পরই এই প্রথমবার সর্বদলীয় বৈঠক ডাকলো বিজেপি সরকার।
এর আগে ২০১৬ সেপ্টেম্বরে সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছিল যদিও সেক্ষেত্রে বিরোধী দলগুলিকে কেবলমাত্র উপস্থিত হওয়ার ডাক দেওয়া হয়েছিল ও তারপরই সার্জিকাল স্ট্রাইকের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মোদি সরকার, কিন্তু শনিবারের সর্বদলীয় বৈঠকই নির্ধারণ করবে সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপ।
এই হামলাকে ঘিরে ইতিমধ্যেই ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে চিড় ধরেছে। ঘটনার দায় স্বীকার করেছে পাক মদতপুষ্ট জইশ ই মহম্মদ সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী। ইতিমধ্যেই প্রতিবেশী দেশের থেকে 'মোস্ট ফেবার্ড নেশন' তকমা কেড়ে নিয়েছে ভারত।
পুলওয়ামা হামলায় সরকারকে সমর্থন করবেন, স্পষ্ট জানিয়েছেন কংগ্রেস প্রধান রাহুল গান্ধি। জঙ্গি হামলার পরিপ্রেক্ষিতে কোনও রকম রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কোনও জায়গা নেই, জানিয়েছেন রাহুল। তিনি বলেন, এই হামলা ভারতের আত্মার উপর হামলা।