শনিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯, ১০:৩৫:৩১

রাখাইনে শিগগিরই সদর দফতর প্রতিষ্ঠার ঘোষণা সশস্ত্র বিদ্রোহী আরাকান আর্মির

 রাখাইনে শিগগিরই সদর দফতর প্রতিষ্ঠার ঘোষণা সশস্ত্র বিদ্রোহী আরাকান আর্মির

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে শিগগিরই অস্থায়ী একটি সদর দফতর নির্মাণ করার পরিকল্পনা করেছে সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মি। আরাকানি জনগণের উদ্দেশে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাখাইন নৃগোষ্ঠীর (আরাকানি) বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের এ সংগঠনের প্রধান মেজর জেনারেল তুন মিয়াত নাইং এ ঘোষণা দিয়েছেন। উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইনে সরকারি সেনাদের সঙ্গে বিদ্রোহী সংগঠনটির সংঘর্ষ চলার মধ্যেই এ ঘোষণা এলো। মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর প্রতিবেদন থেকে এসব কথা জানা গেছে।

ইতিহাস আর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সংরক্ষণসহ রাখাইনে সার্বভৌম কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের প্রশ্নকে সামনে রেখে প্রচারণা চালায় আরাকান আর্মি। রাখাইনে প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্যের তথ্য বারংবার সামনে আনার মধ্য দিয়ে সেখানকার দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে সচেতন করে তুলছে তারা। 

কারও ধারণা, এই মুহূর্তে তাদের সদস্য সংখ্যা ৩ হাজার। কেউ আবার মনে করে,৭ হাজার সেনা রয়েছে তাদের। তবে সবাই মানেন,সামরিক শক্তি নয়,তাদের প্রকৃত অস্ত্র আরাকানের জনসাধারণের অকুণ্ঠ সমর্থন। গত ১৪ জানুয়ারি মিয়ানমারের পুলিশ চৌকিতে আরাকান আর্মির হামলায় ১৩ জন নিহত হওয়ার জবাবে দেশটির সেনাবাহিনী আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। তখন থেকে দুই পক্ষের মধ্যে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে।

১০ ফেব্রুয়ারি আরাকানি ভাষায় ভিডিও বার্তা দেন আরাকান আর্মির প্রধান তুন মিয়াত নাইং। ইরাবতীর প্রতিবেদনে ওই ভিডিও বার্তাকে উদ্ধৃত করা হয়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে তুন মিয়াত নাইং একদন গ্রামবাসীর সামনে বক্তব্য রাখছেন। তিনি ঘোষণা করেন, শিগগিরই রাখাইনে সংগঠনের সদর দফতর গড়ে তোলা হবে। ভিডিওতে দেখা গেছে, বিদেশে থাকা আরাকানি জনগণকে রাখাইন রাজ্যে ফিরে আসার আহ্বান জানাচ্ছেন। সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অংশ নিতে তাদেরকে অনুরোধ জানাচ্ছেন তিনি। 

ভিডিও বার্তায় তুন মিয়াত নাইং বলেন, ‘আমি পুরোপুরি বিশ্বাস করি আরাকানি জনগণ ও আরাকান আর্মি একে অপরের পাশাপাশি আছে। আমরা বার বারই সতর্ক আসছি, সরকারি সেনাবাহিনী গোটা আরাকানি জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সংঘাতে মেতেছে।’ আরাকান আর্মির প্রধান মপথ নিয়েছেন, চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত তারা লড়াই চালিয়ে যাবেন।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে