আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে বিভিন্ন খবর মাঝে মধ্যেই সংবাদ শিরোনাম হয়। কারো মতে, চীনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সঙ্ঘাত সৃষ্টি হতে পারে, এই সাগর নিয়ে। বিশ্ব অর্থনীতির প্রধান দুই শক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন দক্ষিণ চীন সাগরে যার যার কৌশলগত স্বার্থ হাসিলে ভীষণভাবে সচেষ্ট। যুক্তরাষ্ট্রের মোকাবেলার জন্য পরমাণু সক্ষমতাসম্পন্ন অত্যাধুনিক চারটি বিমানবাহী রণতরী নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছে চীন।
২০৩৫ সালের মধ্যে ছয়টি বিমানবাহী রণতরী পানিতে নামবে এবং এর মধ্যে চারটির পরমাণু সক্ষমতা থাকবে বলে জানা যাচ্ছে। এছাড়া দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন সমরসজ্জার পর এ অঞ্চলে প্রায় ১০০ জাহাজ মোতায়েন করে বেইজিং, আর এতে উত্তেজনা চরমে। চীনের প্রধান প্রতিন্দ্বন্দ্বী যুক্তরাষ্ট্র দেশটিকে চোখে চোখে রাখছে। দক্ষিণ চীন সাগরের আশপাশের দেশগুলোও নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শনে বাড়াচ্ছে নৌবাহিনী।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত এলাকায় চীন যেসব কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করছে যুক্তরাষ্ট্রের উচিত সেখানে তাদের যাওয়ার পথ বন্ধ করে দেয়া। আর যুক্তরাষ্ট্র যদি এরকম কিছু করে তাতে বড় আকারের যুদ্ধের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দক্ষিণ চীন সাগরের প্রবাল প্রাচীরের ওপর চীন অনেক দিন ধরেই এক গুচ্ছ কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করছে। তবে সাগরের ওই অঞ্চলকে আরো অনেক দেশ নিজেদের বলে দাবি করছে। কৃত্রিম দ্বীপগুলোতে চীন সামরিক স্থাপনা তৈরি করছে বলে স্যাটেলাইটে তোলা ছবি থেকে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে।