শুক্রবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯, ০১:৫০:২৬

ভারত ও পাকিস্তানকে মিলেমিশে থাকতে বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

ভারত ও পাকিস্তানকে মিলেমিশে থাকতে বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জঙ্গি হামলা নিয়ে মুখ খুললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বললেন, ‘ভয়ঙ্কর ঘটনা।’ সঙ্গে জানালেন, তিনি এই সংক্রান্ত সব রিপোর্ট দেখছেন এবং এ ব্যাপারে দ্রুত বিবৃতি দেবেন।

তবে ভারত ও পাকিস্তানের প্রতি তার বার্তা, দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই প্রতিবেশী দেশ মিলেমিশে থাকলে সবচেয়ে ভালো। একই দিনে ভারত এবং পাকিস্তানকে যথাসম্ভব সংযত হওয়ার অনুরোধ জানালেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেস।

তিনি জানান, পুলওয়ামা হামলার পর যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, তা কমাতে যথাযথ পদক্ষেপ করুক দুই দেশ। এক্ষেত্রে সাহায্য চাইলে সক্রিয় হতে পারে জাতিসংঘও।

১৪ ফেব্রুয়ারির হামলার ঘটনা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের বলেন, আমি দেখেছি। এ ব্যাপারে বেশ কিছু রিপোর্টও পেয়েছি। দুই দেশ মিলেমিশে কাজ করলেই ভাল হয়। পাশাপাশি তার মন্তব্য, ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। আমরা দ্রুত বিবৃতি প্রকাশ করব।

হামলার পর পরই তার নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন ভারতের আত্মরক্ষার অধিকারের অবস্থানে সমর্থন জানিয়েছিলেন। বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়ো, বোল্টন এবং হোয়াইট হাউস প্রেস সচিব সারা স্যান্ডার্স পৃথক পৃথক মন্তব্যে জইশ-ই-মহম্মদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে বলেন। জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়া বন্ধ করার কথাও বলেছেন তারা।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপমুখপাত্র রবার্ট পালাডিনো ভারতকে সমর্থন করে পাকিস্তানকে জানান, ১৪ ফেব্রুয়ারির ঘটনায় যারা দোষী, তাদের শাস্তি দেওয়া হোক।

জাতিসংঘে পাকিস্তানের দূত আবার মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক করতে চান বলে জানিয়েছেন গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক। গুতেরেসের সঙ্গে কথা বলতে চান পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশিও। দুই দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব কমাতে জাতিসংঘের পদক্ষেপ চাইছেন তারা, দাবি মুখপাত্রের।

ভারতে হামলার আগে ১৩ ফেব্রুয়ারি ইরানের দক্ষিণ-পূর্ব সিস্তান-বালুচিস্তানে (পাকিস্তান সীমান্তে) জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারান সে দেশের রেভোলিউশনারি গার্ডস’র ২৭ জন সদস্য। বিষয়টি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে কথা বলেছেন ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী। 

ইরানে হামলার চক্রী পাকিস্তানের নাগরিক বলে জানা গিয়েছে। তার নাম হাফেজ় মহম্মদ আলি। সুন্নি জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ আল-আদলের হাত ছিল ইরানে হামলার পিছনে। জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়া নিয়ে পাক সেনা এবং গোয়েন্দা সংস্থার দিকে আঙুল তুলেছে ইরানও।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে