আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের সাথে উত্তেজনার মধ্যে আজ মঙ্গলবার পতন ঘটেছে ভারতের শেয়ারবাজারে। ডলারের বিপরীতে মূল্য কমে গেছে ভারতীয় রুপিরও।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে প্রকাশ, গতকাল সোমবার রুপির বিপরীতে গতকাল ডলারের মূল্য ছিল ৭০.৯৮৫০, যা আজ হয়েছে ৭১.১৬। এনএসই শেয়ার সূচকের অবনতি হয়েছে ১.১৭ শতাংশ।
ইকোনোমিক্স টাইমস বলছে, এনএসইতে মঙ্গলবার ৬১টি কোম্পানির শেয়ার এক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন রেটে লেনদেন হয়েছে।
বিরোধপূর্ণ কাশ্মিরের সীমান্ত রেখায় গুলিবর্ষণের ঘটনা অহরহ ঘটলেও এবার আকাশ থেকে বিমানযোগে যে হামলার ঘটনা ঘটলো তা বিরল।
নয়া দিল্লি বলছে, ২০১৬ সালের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর আরেকটি পাকিস্তানের ‘সন্ত্রাসী’ ক্যাম্প লক্ষ্য করে আরেকটি বড় ধরনের হামলা চালানো হয়েছে। অবশ্য ইসলামাবাদ মারাত্মক কিছু ঘটার বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের পুলওয়ামায় যে হামলার ঘটনা ঘটেছে, তার কড়া জবাব দেয়ার হুমকি দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কয়েক মাস পরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দেশটির জাতীয় নির্বাচনে মোদির কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর মধ্যে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এ অঞ্চলটিতে গত ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনা ঘটলো।
এ হামলার জন্য ভারত জইশ-ই-মোহাম্মদ নামে একটি গ্রুপকে দায়ী করে এর জন্য পাকিস্তানকে দোষারোপ করেছে। তবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ভারত এ বিষয়ে বিশ্বাসযোগ্য কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি।
সিএনএন নিউজ১৮ বলছে, ১০০০ কেজির একটি বোমা ফেলেছে ভারত। আর এতে ২০০-র মতো বিদ্রোহী নিহত হয়েছে। তবে তারা কোথা থেকে এ তথ্য পেলো তা উল্লেখ করেনি। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও বলেছে, এ ব্যাপারে তাদের সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই।
ভারতীয় কাশ্মিরের মেন্ধার বাসিন্দা মোহাম্মদ ইকবাল জানিয়েছেন, সারা রাত ধরে বিমান উড্ডয়নের ঘটনা ঘটেছে।
ভারতীয় কর্তৃপক্ষের দাবি অনুসারে পূর্বপরিকল্পিত এ অভিযানে বালাকোট সেক্টর থেকে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মিরের প্রায় ৮০ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে ভারতীয় যুদ্ধবিমানগুলো। এর পর তারা বোমা ফেলে বালাকোট, চাকোটি এবং মুজাফরাবাদে জয়েশ-ই-মোহম্মদের তিনটি লঞ্চপ্যাড ধ্বংস করে এবং জয়েশের কন্ট্রোল রুম আলফা-৩ গুঁড়িয়ে দেয়। ভারতীয় বিমানবাহিনী দাবি করে, কাশ্মিরে ভারতের এ হামলা প্রায় ২১ মিনিট ধরে চালানো হয়। এ হামলায় ইসরাইলি প্রযুক্তিতে তৈরি লেজার গাইডেড বোমা ব্যবহার করা হয়। কারগিল যুদ্ধে প্রথমবারের মতো এ বোমা ব্যবহার করা হয়েছিল।
কিন্তু এ ব্যাপারে পাকিস্তানের আইএসপিআরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আসিফ গফুর জানিয়েছেন, নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘন করেছিল ভারতীয় যুদ্ধবিমানগুলো। কিন্তু, পাকিস্তানের পাল্টা প্রতিরোধের মুখে পড়ে ভারতীয় যুদ্ধবিমানগুলো ফিরে যায়। তিনি জানিয়েছেন, মুজাফরাবাদ থেকে ভারতীয় বিমানগুলো প্রবেশ করেছিল। তবে সেগুলো বিশেষ কোনো ক্ষয়ক্ষতি করতে পারেনি।