বুধবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯, ০৮:০২:০১

পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনা আর বাড়াতে চায় না ভারত : সুষমা স্বরাজ

পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনা আর বাড়াতে চায় না ভারত : সুষমা স্বরাজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারত জানিয়েছে, পাকিস্তানের সঙ্গে বর্তমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতির আর অবনতি দেখতে চায় না তারা। দায়িত্ব ও সংযমের সঙ্গে দুদেশের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে চায় ভারত। খবর ইউএনবি’র।

পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ভারতের মর্টার শেলের আঘাতে ছয়জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলে পাকিস্তানের পুলিশ জানানোর পরপরই ভারতের পক্ষ থেকে এ ধরনের বক্তব্য দেয়া হয়।

বুধবার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলেছেন, জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ভারতে আবার হামলার প্রতিরোধের জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ হিসেবে মঙ্গলবার পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সীমিত আকারে আক্রমণ চালানো হয়েছে।

চীনের হুয়েনে রাশিয়া, ভারত ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে ১৬তম বৈঠকে সুষমা এ কথা বলেন।

এর আগে পাকিস্তানের স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলতাফ জানান, কাশ্মীরে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কোতলি গ্রামে ভারতের হামলায় শিশুসহ অন্তত ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। পাকিস্তান ও ভারত উভয়ই এলাকাটিকে নিজেদের অংশ হিসেবে দাবি করেছে।

ভারতীয় বিমান আকাশসীমা লঙ্ঘন করে পাকিস্তানে প্রবেশ করে বোমা হামলা চালিয়েছে বলে মঙ্গলবার পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র টু্ইট করেন। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলেও দাবি করেন ওই মুখপাত্র।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় এক আত্মঘাতী হামলায় ভারতের আধা সামরিক বাহিনীর ৪০ জনের বেশি সদস্য নিহত হন। পাকিস্তান-ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদ হামলার দায় স্বীকার করে।

এরপর প্রতিবেশী দুদেশের সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটে।

ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে প্রতিশোধ নেয়ার হুমকি দিতে থাকে। তবে পুলওয়ামা হামলায় পাকিস্তানের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ভারত তাদের ওপর হামলা করলে পাকিস্তানও পাল্টা জবাব দেবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ১৯৪৭ সালে বৃটিশ শাসনমুক্ত হওয়ার পর থেকেই অমীমাংসিত কাশ্মীর রাজ্য নিয়ে পারমাণবিক ক্ষমতাধর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। পাকিস্তানের অধীনে স্বাধীন রাজ্য হিসেবে কাশ্মীরকে চায় এক গোষ্ঠী। অন্যদিকে ভারতের অধীনে কাশ্মীরকে চায় আরেক গোষ্ঠী।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে