যে ১০টি জিনিসে বিশ্বাস করেন ট্রাম্প
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট পদ প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। রিপাবলিকান দল থেকে নমিনেশন প্রতিযোগিতায় এখন পূর্যন্ত সবার থেকে এগিয়ে আছেন তিনি। ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সম্প্রতি এই রিপাবলিকান নেতা তার বক্তব্যে মুসলমানদের কড়া সমলোচনা করেছেন। তিনি মুসলমানদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানিয়েছেন। এই বক্তব্যের পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ছাড়াও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের কাছে আলোচিত ব্যাক্তিত্বে পরিনত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের আগামি প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ট্রাম্পের কয়েকটি নীতি ও বিশ্বাস এরকম:
১. ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বাস করেন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ১১ই সেপ্টেম্বরের হামলার পর সেদেশে বসবাসরত আরব-অ্যামেরিকানরা উল্লাস প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেছেন, টুইন টাওয়ারে দুটি বিমান আঘাত হানার পর নিউ জার্সিতে কয়েক হাজার আরব-অ্যামেরিকান উল্লাসে ফেটে পড়েন।
২. তিনি বিশ্বাস করেন যুক্তরাষ্ট্রে মসজিদগুলোর ওপর নজর রাখা প্রয়োজন। তিনি মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উচিত প্রত্যেক মুসলমানের গতিবিধির ওপর নজর রাখা।
৩. তিনি মনে করেন, আইএস জঙ্গিদের জিজ্ঞাসাবাদের সময় ওয়াটারবোর্ডিং পদ্ধতি ব্যবহার করা উচিত। এই পদ্ধতিতে মুখের ওপর এমনভাবে পানি ঢালা হয় যে ওই ব্যক্তির মনে হবে তাকে পানিতে ডুবিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি নির্বাচিত হলে আইএসকে বোমা মেরে দোজখে পাঠাবেন। তার মতে এবিষয়ে তার চেয়ে বেশি কঠোর আর কেউ হতে পারবে না।
৪. মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রের মাঝখানে তিনি একটি ‘গ্রেট গ্রেট ওয়াল’ নির্মাণ করতে চান। তিনি বলেছিলেন, মেক্সিকো থেকে যারা অ্যামেরিকায় আসে তারা মূলত অপরাধী। তারা মাদক নিয়ে আসে, অপরাধ নিয়ে আসে, তারা মূলত নির্জাতনকারী।
৫. যুক্তরাষ্ট্রে যে বিপুল সংখ্যক মানুষ (এক কোটি ১০ লাখ) অবৈধভাবে বসবাস করছেন তাদের বেশিরভাগকেই নিজেদের দেশে ফেরত পাঠানো উচিত বলে তিনি মনে করেন। সিরিয়া থেকে যেসব শরণার্থী যুক্তরাষ্ট্রে ইতিমধ্যে আশ্রয় নিয়েছে তাদেরকে তিনি ফেরত পাঠাবেন।
৬. তিনি বলেছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে তিনি সবচে ভালোভাবে কাজ করতে পারবেন।
৭. যুক্তরাষ্ট্রে গুলির ঘটনা বন্ধ করতে মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসায় প্রচুর বিনিয়োগ করা উচিত। তিনি মনে করেন, বন্দুক নিয়ন্ত্রণ করে এই সমস্যার সমাধান করা যাবে না।
৮. জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে শুধু ‘আবহাওয়ার’ বিষয়। তবে দূষণমুক্ত পানি ও বাতাস খুবই জরুরি।
৯. সাদ্দাম হোসেন এবং মুয়াম্মার গাদ্দাফি যদি এখনও ক্ষমতায় থাকতেন তাহলে এই বিশ্ব আরো অনেক নিরাপদ থাকতো। তিনি মনে করেন ইরাক ও লিবিয়ার অবস্থা ওই দুই নেতার আমলের চেয়ে আরো খারাপ হয়েছে।
এবং
১০. ডোনাল্ড ট্রাম্প মনে করেন যে তিনি একজন ‘ভালো মানুষ।’ তার সবশেষ বই ‘ক্রিপল্ড অ্যামেরিকা’ গ্রন্থে তিনি লিখেছেন, “আমি আসলেই একজন ভালো লোক। বিশ্বাস করুন, এনিয়ে আমার গর্ব আছে।”-বিবিসি
১৩, ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমইউ
�