আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের রাফালে যুদ্ধবিমান চাই। দেশকে রক্ষা করার জন্য রাফালে যুদ্ধবিমান চাই। নাহলে পাকিস্তানি এফ-১৬ হামলা করতে এলে কীভাবে ঠেকাবে ভারত? এদিন এভাবেই রাফালে নিয়ে সওয়াল করল ভারত সরকার।
সেখানে তুলে ধরা হয়েছে কয়েকদিন আগে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান এফ-১৬-র ভারতে ঢুকে পড়ার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। আদালতে ভারত সরকারের তরফে অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপাল বলেন, দেশকে এফ-১৬ থেকে বাঁচাতে রাফালে চাই। রাফালে ছাড়া ওঁদের আমরা কীভাবে আটকাব?
বেণুগোপাল বলেছেন, রাফালে জেট প্রয়োজন। যদিও ষাটের দশকের মিগ ২১ বাইসন রয়েছে। তা ভালো কাজ করেছে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের বিপক্ষে। তবে প্রয়োজন রয়েছে বলেই তৎপরতার সঙ্গে রাফালে নিয়ে চুক্তি হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম ধাপের রাফালে সাপ্লাই হবে। ৫২ জন পাইলট ফ্রান্সে প্রশিক্ষণ নিতে যাবেন। এটা করা হচ্ছে দেশকে সুরক্ষিত করার জন্যই।
প্রসঙ্গত, এদিন সুপ্রিম কোর্টে অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপাল জানান, রাফালে চুক্তির কাগজপত্র চুরি হয়ে বাইরে ফাঁস করে দেওয়া হয়েছে। এই কাজ যে সংস্থা করেছে সেই সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্র সরকার। পরে মুখ্য বিচারপতি রঞ্জন গগৈ জানতে চান, নথি চুরি যাওয়ার পরও কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি?
সেই প্রশ্নের জবাবেই একথা জানিয়েছে কেন্দ্র। অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতে জানান, যে নথি ফাঁস হয়েছে তার ওপরে পরিষ্কার 'কনফিডেন্সিয়াল' লেখা ছিল। ফলে তা জনসমক্ষে নিয়ে আসার অর্থ সরকারি গোপনীয়তা আইন ভঙ্গ করা। সেই নথি আদালতেও এদিন পেশ করা হয়েছে। যে নথি ফাঁস হয়েছে তা প্রয়োজনে খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি কেএম জোসেফ।