বুধবার, ০৬ মার্চ, ২০১৯, ১১:৫৫:৪৮

সর্বাত্মক যুদ্ধে বেশি দিন টিকবে না ভারত! ১০ দিনেই শেষ হবে অস্ত্রভাণ্ডার!

সর্বাত্মক যুদ্ধে বেশি দিন টিকবে না ভারত! ১০ দিনেই শেষ হবে অস্ত্রভাণ্ডার!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের সঙ্গে সাম্প্রতিক বিমান যুদ্ধে ভারতের মিগ-২১ বিধ্বস্ত হওয়ার পর ভারতের সেনাবাহিনীর বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা ওঠে এসেছে। পাকিস্তানের চেয়ে আয়তনে বড় ও দ্বিগুণ সেনা সদস্যের বাহিনী থাকার পরও সংক্ষিপ্ত বিমান যুদ্ধে এই হাল দেখার পর দেশটির সশস্ত্রবাহিনীর অস্ত্রভাণ্ডার নিয়ে সমালোচনা চলছে। 

খোদ ভারতের সরকারি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামীকাল যদি সর্বাত্মক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে ভারত তাহলে সেনাদের মাত্র ১০ দিনের গোলাবারুদ সরবরাহ করা সম্ভব হবে। আর দেশটির সেনাবাহিনীর ৬৮ শতাংশ সমরাস্ত্র এতো পুরনো যে, সরকারিভাবেই সেগুলোকে ‘আদিকালের’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস’র এক প্রতিবেদনে এসব কথা জানা গেছে।

ভারতের সেনাবাহিনীর সমরাস্ত্র পুরনো বলে স্বীকার করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষা বিষয়ক পার্লামেন্টারি স্থায়ী কমিটির সদস্য ও আইনপ্রণেতা গৌরব গগৈ। তিনি বলেন, আমাদের সেনাদের অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রের অভাব আছে, কিন্তু তারা একবিংশ শতকের অত্যাধুনিক সামরিক মহড়ায় অংশগ্রহণ করেছে।

ভারতীয় বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমানগুলো যে পুরনো হয়ে গেছে তা স্বীকার করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। শনিবার (২ মার্চ) এক সভায় দেওয়া ভাষণে মোদি বলেন, আজ ভারতের হাতে রাফাল জঙ্গি বিমান থাকলে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধবিমানের ফলাফল ভিন্ন হতো।

নিউইয়র্ক টাইমস’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত দুই দশকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী পাকিস্তানের চেয়ে ভারতকে গুরুত্ব দেওয়া শুরু করে। মার্কিন সরকারের অভিযোগ, জঙ্গিবাদ দমনে পাকিস্তানের ভূমিকা সন্তোষজনক নয়। যদিও পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। গত এক দশকের মধ্যেই প্রায় শূন্য থেকে ভারতের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি পৌঁছেছে ১৫ বিলিয়ন ডলারে। এরপরও পাকিস্তানের কাছে ভারতের মতো অত্যাধুনিক মার্কিন সমরাস্ত্র রয়েছে।

ভারতীয় কর্মকর্তাদের দাবি, গত সপ্তাহে ভারতীয় মিগ-২১ ভূপাতিত করতে পাকিস্তান এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেছে। ভারত এই অভিযোগ করলেও রবিবার ইসলামাবাদে মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। যদি পাকিস্তান এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে থাকে তাহলে তা ক্রয়চুক্তির লঙ্ঘন হবে।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর তহবিল এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ২০১৮ সালের জন্য ভারতের সামরিক বাজেট ৪৫ বিলিয়ন ডলারের। ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের একই বছরের সামরিক বাজেট ১৭৫ বিলিয়ন ডলার। গত মাসে ভারত আরও ৪৫ বিলিয়ন ডলারের বাজেট ঘোষণা করেছে।

কিন্তু ভারতের সেনাবাহিনীর জন্য বরাদ্দই আসল বিষয় নয়, গুরুত্বপূর্ণ হলো কীভাবে তা ব্যয় করা হয়। ভারতের সামরিক বাজেটের বড় অংশই চলে যায় সক্রিয় ১২ লাখ সেনার বেতন পরিশোধে। এছাড়া রয়েছে পেনশনও। মাত্র ১৪ বিলিয়ন ডলার নতুন সামরিক সরঞ্জাম কেনার জন্য বরাদ্দ থাকে।

গৌরব গগৈ বলেন, যখন আধুনিক সেনাবাহিনী নিজেদের গোয়েন্দা ও কারিগরি সামর্থ্য বৃদ্ধির জন্য বড় ধরনের বিনিয়োগ করছে, আমাদেরও তা করতে হবে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে