আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অভিনন্দন বর্তমানের চোখ এবং হাত বাঁধা ছবি দেখার পরই যুদ্ধের হুঙ্কার ছেড়েছিল ভারত। মিগ-২১ বনাম এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের ডগফাইটের পর সরাসরি ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।
ছ’টি মিসাইল পাকিস্তানের অভ্যন্তরে নিশানা করে রেখেছিল নয়াদিল্লি। পাল্টা প্রত্যাঘাতের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল ইসলামাবাদও। নয়াদিল্লি, ইসলামাবাদ এবং ওয়াশিংটনের একাধিক সূত্র অনুযায়ী সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের দাবি, ওই সময় দু’দেশের সম্পর্ক এতটাই উত্তপ্ত ছিল যে, মার্কিন কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ না হলে দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে যুদ্ধ লেগেই যেত।
ওয়াশিংটনের সূত্রে এও দাবি, পাকিস্তানের উদারতা নয়, মার্কিন চাপেই ভারতীয় বিমানসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে ভারতে ফেরত পাঠাতে বাধ্য হয়েছিল ইমরান খানের সরকার। এবং সেই সিদ্ধান্তের পরই দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমিত হয়। কারণ, অভিনন্দনকে ফেরানোর সিদ্ধান্তের পর ভারত কিছুটা নরম অবস্থান নেয়।
কেমন যুদ্ধের আবহ ছিল সেই সময়? সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের দাবি, অভিনন্দনের ওই ভিডিয়ো দেখার পরই ভারতীয় কূটনৈতিক এবং সামরিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। নয়াদিল্লি সরাসরি হুমকি দেয়, পাকিস্তানের মাটিতে ছ’টি মিসাইল দিয়ে হামলা চালানো হবে।
তবে কী ধরনের মিসাইল বা কোথায় সেগুলি ফেলা হবে, নয়াদিল্লির তরফে সে সব স্পষ্ট করা হয়নি সেই সময়। এই খবর পেয়েই পাকিস্তানও পাল্টা হুঙ্কার ছাড়ে, ভারত একটা মিসাইল ফেললে তারা তিনটি ফেলবে। এই উত্তেজনার আঁচ পেয়েই তড়িঘড়ি হস্তক্ষেপ করে আমেরিকা। উত্তেজনা এতটাই চরমে ছিল যে দুই প্রতিবেশী দেশকে নিরস্ত করতে মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনকে পর্যন্ত ময়দানে নামতে হয়।