আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদে এলোপাতাড়ি গুলি চালানো ব্রেনটন টেরেন্টকে জাপটে ধরে আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন নাঈম রশিদ (৫০)।শনিবার তার পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি পাকিস্তানি নাগরিক। ঘাতকের গুলিতে তিনিও পাণ হারিয়েছেন।প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, তিনি এমন অসীম সাহসিকতা না দেখালে নিহতের সংখ্যা হয়তো আরও বাড়ত। এ মহানায়ককে মরণোত্তর বীর খেতাব দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। খবর এএফপির।
পাকিস্তানের অ্যাবটাবাদের বাসিন্দা নাঈম রশিদ। শনিবার রাতে হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এর আগে তার ছেলে তালহা রশিদ (২১) প্রাণ হারিয়েছিলেন। বাকি অনেকের জীবন বাঁচিয়ে চলে গেলেন নাঈমও। ভিডিওতে দেখা গেছে, মসজিদের গুলির শব্দে যখন সবাই পালাচ্ছেন, তখন একজন ঘাতককে ঝাপটে ধরে থামানোর চেষ্টা করছেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী রোববার এক টুইটে জানান, শেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদীকে আটকানোর চেষ্টা করে শহীদ হওয়া মিয়া নাঈম রশিদের জন্য পাকিস্তান গর্বিত। তার সাহসিকতা জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত করা হবে।’ বেসামরিকদের সাহসিকতার স্বীকৃতি দিতে পাকিস্তানে বহু পুরস্কারের প্রচলন রয়েছে।