আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ভোটের মাত্র পাঁচ দিন আগে পশ্চিমবঙ্গে পুলিশ-প্রশাসনে রদবদলের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। পুলিশ কর্মকর্তাদের বদলির ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
জি নিউজের খবরে বলা হয়, কলকাতা ও বিধাননগরের দুই পুলিশ কমিশনার এবং বীরভূম ও ডায়মন্ড হারবারের দুই পুলিশ সুপারকে বদলির সিদ্ধান্তে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছেন মমতা ব্যানার্জী।
চিঠিতে বদলির সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করে দেখার জন্য কমিশনকে অনুরোধ করেছেন তিনি। একইসঙ্গে, কার নির্দেশে বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তা তদন্ত করে দেখারও দাবি জানিয়েছেন মমতা।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে ভারতের কলকাতা ও বিধাননগরের দুই পুলিশ কমিশনার এবং বীরভূম ও ডায়মন্ড হারবারের দুই পুলিশ সুপারকে বদলি করা হয়েছে। এছাড়া কোচবিহারের জন্য আলাদা পুলিশ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন।
এর আগে কলকাতা ও বিধাননগর- এই ২ পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছিলেন বিরোধীরা। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রদবদলের সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন।
শুক্রবার রাতে বদলি করা হয়েছে কলকাতা ও বিধাননগরের দুই পুলিশ কমিশনার এবং বীরভূম ও ডায়মন্ড হারবারের দুই পুলিশ সুপারকে। এ ছাড়া কোচবিহারের জন্য আলাদা পুলিশ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে কমিশন।
এই চার পুলিশ কর্মকর্তাদের ভোটের কোনো কাজে যুক্ত করা যাবে না বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অনুজ শর্মার জায়গায় কলকাতা পুলিশের কমিশনার হচ্ছেন রাজেশ কুমার। তিনি দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের এডিজি পদে ছিলেন।
বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার জ্ঞানবন্ত সিংকে সরিয়ে সেই জায়গায় নিযুক্ত করা হয়েছে নটরাজন রমেশ বাবুকে। তিনি বিধাননগর পুলিশের এডিজি অপারেশন পদে ছিলেন। বীরভূমের পুলিশ সুপার শ্যাম সিংকে বদলে সেই স্থানে আনা হয়েছে আভান্যু রবীন্দ্রনাথকে। তিনি এয়ারপোর্ট ডিভিশনের ডিসি ছিলেন।
ডায়মন্ড হারবারের পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগানকে বদলে তার স্থানে আনা হয়েছে কলকাতা সশস্ত্র পুলিশের থার্ড ব্যাটেলিয়নের ডিসি শ্রীহরি পান্ডেকে। আনুষ্ঠানিকভাবে এই বদলের কোনো কারণ জানায়নি কমিশন।