এমএ পরীক্ষায় কত নম্বর পেয়েছিলেন মোদি?
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এমএ পরীক্ষায় কত নম্বর পেয়েছিলেন? অজস্রবার এ প্রশ্নে জর্জরিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অবশেষে জানিয়ে দিয়েছে, তাদের কাছে এর কোনো রেকর্ড নেই।
প্রধানমন্ত্রী আসলে পড়াশোনায় ঠিক কতটা ভালো, সেটা জানতে চেয়ে ‘তথ্য জানার অধিকার’ (রাইট টু ইনফর্মেশন) আইনের আওতায় এই জাতীয় অসংখ্য প্রশ্ন জমা পড়েছিল প্রধানমন্ত্রীর দফতরে।
কিন্তু গত প্রায় দেড় বছর ধরে জমা পড়া এসব প্রশ্নের উত্তরে এতদিন নীরব থাকার পর মোদির কার্যালয় তাদের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, নম্বরের হিসাব দেয়া সম্ভব নয়। কারণ প্রধানমন্ত্রীর অফিসে সেসব নথিপত্র নেই।
প্রধানমন্ত্রীর সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা যে তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ ডিগ্রিধারী সেটাও ওয়েবসাইটে উল্লিখিত আছে বলে তার সচিবালয়ের কর্তারা মনে করিয়ে দিয়েছেন।
কিন্তু যেসব ‘রাইট টু ইনফর্মেশন’ (আরটিআই) অ্যাক্টিভিস্টরা প্রধানমন্ত্রীর নম্বর জানতে চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন তারা এই উত্তরে যথারীতি হতাশ।
আরটিআই অ্যাক্টিভিস্ট ভেঙ্কটেশ নায়েক মনে করছেন, নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী পদে আসার পর থেকেই তার সচিবালয় বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যেতে শুরু করেছে।
নায়েকের কথায়, এমন কী অনায়াসেই যেসব প্রশ্নের উত্তর দেয়া সম্ভব সেগুলোও কোনো অজানা কারণে বা অদ্ভুত সব অজুহাত দিয়ে পাশ কাটিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এখানেও সেরকমই কিছু ঘটেছে বলে আমার অনুমান।
প্রধানমন্ত্রী মোদি এর আগে গত লোকসভা নির্বাচনের সময় বা তার আগে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে যতবার ভোটে লড়েছেন প্রতিবারই হলফনামায় নিজেকে এমএ (পলিটিক্যাল সায়েন্স) বলে ঘোষণা করেছেন।
তার নিজের দেয়া তথ্য অনুসারে, ১৯৭৮ সালে তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ডিসট্যান্স লার্নিং কোর্সে ভর্তি হয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। এ ধরনের কোর্সে কোনো কলেজে গিয়ে ক্লাস করতে হয় না, ডাকযোগেই পড়াশোনা চলে।
এর পাঁচ বছর বাদে গুজরাট ইউনিভার্সিটি থেকে তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন বলেও প্রধানমন্ত্রীর ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে।
কিন্তু এসব ডিগ্রি পরীক্ষায় তার ফল কেমন ছিল বা তিনি ঠিক কত নম্বর পেয়েছিলেন– এতদিন বাদে সেটা খোঁজ করতে গিয়েই হতাশ হতে হচ্ছে ভারতের আরটিআই অ্যাক্টিভিস্টদের! সূত্র : বিবিসি
১৫ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম
�