শনিবার, ০৮ জুন, ২০১৯, ০৮:৪৯:৫৩

স্বাদে-গন্ধে ইলিশ মাছকে হার মানাবে পেংবা

স্বাদে-গন্ধে ইলিশ মাছকে হার মানাবে পেংবা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মাছটি দেখতে অনেকটা পুঁটির মতো। গড়ন পুঁটি মাছের ওজন ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম হবে। বিশ্বাস হোক কিংবা না হোক এই মাছটি স্বাদে-গন্ধে হার মানাবে ইলিশকে! এটা পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের মণিপুরের ‌পেংবা‌ মাছ। ইলিশ নয়, পেংবা মাছ। এ খবর দিয়েছে আজকাল।

এটা নদীর মাছ। মণিপুরের বিভিন্ন নদী ও লোকতাল লেক ছাড়া চীনের নদ-‌নদী ও হ্রদে, মায়ানমারের চিন্দুইন নদীতে এই মাছের দেখা মেলে। অবশ্য নানা কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে পেংবা। এই মাছের কৃত্রিম প্রজনন ঘটিয়েছিলেন উড়িষ্যার সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্রেশ ওয়াটার অ্যাকোয়াকালচার বা সিফা’র মৎস্যবিজ্ঞানীরা।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলা মৎস্য দপ্তরের উদ্যোগে ৬০ হাজার পেংবা চারা সংগ্রহ করে হলদিয়ার ৭টি ভেড়িতে ছাড়া হয়েছিল গত বছর।

হলদিয়া ব্লক মৎস্য দপ্তর জানাচ্ছে, পেংবা নিয়ে তাদের পরীক্ষা সফল। এখন ৭টি ভেড়ি মিলিয়ে ৫০ হাজার পেংবা আছে। মাছগুলির ওজন এখন গড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম। ওজন ১৫০ থেকে ২০০ গ্রাম হলেই বিক্রি করা হয়। দক্ষিণবঙ্গে একমাত্র পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়াতেই নতুন এই মাছের চাষ হয়েছিল। পেংবা মাছের চারা দেওয়া হয়েছিল স্থানীয় দুই মৎস্য‌চাষি অরূপ মন্ত্রী ও শরৎচন্দ্র ভৌমিককে। তাদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণ ‌কর্মশালায় পেংবা চাষের সাফল্য দেখতে উপস্থিত ছিলেন সিফা’র মৎস্যবিজ্ঞানী প্রতাপচন্দ্র দাস। তার চেষ্টাতেই সফল হয়েছিল পেংবা মাছের কৃত্রিম প্রজনন। পেংবা চাষে সাফল্য সরেজমিন দেখে অভিভূত তিনি। সেদিন শতাধিক গ্রামবাসীকে পেংবা মাছ খাওয়ানো হয়।

হলদিয়ার মৎস্য চাষ ও সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সুমনকুমার সাহু বলেন, ‌সব সংশয় কাটিয়ে এই ভিন্ন পরিবেশে পেংবা দিব্যি বেঁচে গেছে। শুধু টিকে থাকাই নয়, মাছের আশানুরূপ বৃদ্ধি হয়েছে।‌ এখন থেকে পেংবা হলদিয়া ও আশপাশের বাজারে সরবরাহ করা যাবে বলে আশা চাষিদের।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে