আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারত সরকার সংবিধানের ৩৭০ ধারা দিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ করেছে। আর এ নিয়ে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পাকিস্তান। ভারতের বিপক্ষে যুদ্ধংদেহি পাকিস্তান, প্রস্তুতি শুরু সেনাবাহিনীর! আফগানিস্তান সীমান্ত থেকে সরিয়ে কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সেনা মোতায়েন করছে পাকিস্তান। এদিকে ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, পাকিস্তান কোনও ধরনের আগ্রাসন চালালে উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে।
এর আগে গতকাল সোমবার গোটা দেশকে চমকে সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫এ ধারা রদ করে মোদি সরকার। গেজেট নোটিফিকেশনে রাষ্ট্রপতির সই করে ‘অস্থায়ী’ ধারাটি বিলোপের কথা সংসদে ঘোষণা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে ভেঙে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার কথা ঘোষণা দেন তিনি। এই মর্মে একটি বিলও পেশ করেন অমিত শাহ। বিরোধীরা প্রতিবাদ করলেও রাজ্যসভায় পাশ হয়ে যায় জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল। তারপরই শুরু হয় উত্তেজনা। এরপর তুমুল প্রতিবাদ শুরু করে পাকিস্তান।
এদিকে ক্ষোভের সুরে পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কাশ্মীর সমস্যা আবারও বৃদ্ধি করতে চাইছে ভারত। এই ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘেরও দ্বারস্থ হতে চলেছে পাকিস্তান বলেও জানান তিনি।
এদিকে বিশ্লেষকদের মতে, ইসলামাবাদের ধারণা জম্মু ও কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হয়ে যাওয়ায় এবার পাক-অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে নয়াদিল্লি। ভূস্বর্গের রাজ্যের মর্যাদা না থাকায় হুরিয়ত, ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিডিপি-র মতো পাকিস্তান ঘেঁষা রাজনৈতিক দলগুলির মাধ্যমে আর উপত্যকার মানুষকে প্রভাবিত করতে পারবে না ইসলামাবাদ।
এদিকে গোয়েন্দা সূত্রে সতর্কবার্তা পেয়ে উপত্যকায় হাই অ্যালার্ট জারি করেছে ভারত। যেকোনও পরিস্থিতির জন্য তৈরি রয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে আগেই প্রায় ৩৫ হাজার আধাসেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক মঞ্চেও ইসলামাবাদকে ঘিরে ফেলতে তৈরি নয়াদিল্লি। সোমবার যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স, ব্রিটেনসহ একাধিক দেশের প্রতিনিধির সঙ্গে দেখা করেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিজয় গোখলে।
এদিকে সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে ব্যাংককে মার্কিন পররাষ্ট্রসচিব মাইক পম্পেওর সঙ্গে ৩৭০ ধারা নিয়ে আলোচনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর। তখনই ধারাটি তুলে নেওয়া হবে বলে যুক্তরাষ্ট্রকে নাকি জানিয়েছিল ভারত। এছাড়াও, কাশ্মীর ইস্যুতে কোনও তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ যে ভারত মেনে নেবে না, তা আগেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে বুঝিয়ে দিয়েছিল দিল্লি।