পুতিনের নতুন হুঙ্কার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নতুন হুঙ্কার ছেড়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বিশ্ব নেতাদের একজন তিনি। আবার টেক্কা দিয়েছেন আমেরিকার সাথে। তাই সিরিয়া-অভিযানে রাশিয়া তার সামরিক সক্ষমতার চেয়ে অনেক কম শক্তি ব্যবহার করছে বলে মন্তব্য করেছেন পুতিন।
সিরিয়া-সংক্রান্ত শান্তি-পরিকল্পনা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে অকুণ্ঠ সমর্থন পাওয়ার এক দিন পর এমন কথা বললেন তিনি।
গত শুক্রবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে সব সদস্য দেশ এ বিষয়ে সমর্থন দেয়।
সিরিয়া-অভিযানে রাশিয়ার সামরিক সক্ষমতা সম্পর্কে পুতিন দৃশ্যত দম্ভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদের অন্য জিনিসও (সামরিক শক্তি) আছে। প্রয়োজন হলে তা ব্যবহার করব।’
সিরিয়ায় চলমান গৃহযুদ্ধ পাঁচ বছরে পা রাখছে। এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত আড়াই লাখ মানুষ নিহত হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে দেশটির অর্ধেকের বেশি মানুষ।
এমন প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার নেতৃত্বে ১৭টি দেশের সমন্বয়ে গঠিত ইন্টারন্যাশনাল সিরিয়া সাপোর্ট গ্রুপ (আইএসএসজি) জেনেভা ও ভিয়েনা বৈঠকে গৃহীত পরিকল্পনা নিয়ে গত শুক্রবার নিউইয়র্কে আবার বৈঠক করে। সেখানে সিরিয়ার সরকার এবং বিরোধীদের যত দ্রুত সম্ভব—পারলে জানুয়ারি মাসের মধ্যেই এক টেবিলে বসানোর সিদ্ধান্ত হয়। ওই দিনই আরো পরে নিরাপত্তা পরিষদ এই পরিকল্পনার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানায়।
পরিকল্পনামতো যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে সিরিয়ার দুই পক্ষকে আলোচনায় আনা সম্ভব হলে দেশটিতে রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন শক্তিগুলোর একমাত্র লক্ষ্যবস্তু হবে ইসলামিক স্টেট (আইএস)।
কট্টরপন্থী সুন্নি সংগঠন আইএস সিরিয়া এবং তার প্রতিবেশী ইরাকের একটি বড় অংশ দখল করে আছে।
আলোচনার প্রস্তাবটি নিরাপত্তা পরিষদের সবার সমর্থন লাভের পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি সাংবাদিকদের বলেছেন, তারা আশা করছেন, আগামী জানুয়ারিতেই দুই পক্ষকে এক টেবিলে বসানো এবং একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা সম্ভব হবে। সূত্র: বিবিসি
২০ ডিসেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস
�