আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব দাবি করেছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে আশ্বাস দিয়েছিলেন ত্রিপুরা থেকে চা কিনবেন।
এক অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে বিপ্লব কুমার দেব বলেন, কলকাতাভিত্তিক চা উদ্যোক্তার একটি বৈঠকের পর আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করেছি। কিন্তু তখন তিনি কথা বলতে পারিনি। পরে, তিনি আমাকে কল করেছিলেন এবং আমরা চায়ের আমদানি ও রপ্তানি নিয়ে আলোচনা করেছি।
বিপ্লব বলেন, তিনি (শেখ হাসিনা) আমাকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে, তারা ত্রিপুরা থেকে চা কিনবেন এবং তিনি তার কর্মকর্তাদের আমাদের রাজ্য থেকে চা আমদানির নির্দেশ দেবেন।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা থেকে চা আমদানি করে আসছে। কেউ ভাবতে পারেনি যে ত্রিপুরার চা বাজারে প্রতি কেজি ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করা যায়। এর আগে ত্রিপুরা চা উন্নয়ন কর্পোরেশন (টিটিডিসি) কেজি প্রতি ১৪৪ টাকায় চা বিক্রি করেছিল। কিন্তু এখন কলকাতায় নিলামে তারা গত মাসে কেজি প্রতি ১৭৭ টাকা নিয়েছে।
বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা থেকে চা আমদানি করছে। তবে এখন আমরা তাদের কাছে আমাদের মানসম্পন্ন চা বিক্রি করতে প্রস্তুত আছি। তিনি ত্রিপুরার চা বিকাশে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্য রাজ্যের পূর্ববর্তী সরকারেরও সমালোচনা করেন।
বিপ্লব দেব বলেন, বিজেপি-আইপিএফটি সরকার গঠনের পর আমরা চা শিল্পের বিকাশের ওপর জোর দিয়েছিলাম এবং যথাযথ উপায়ে বিপণন করেছি। যা আগে কখনো হয়নি। আগে এখানে সাদা চা উৎপাদনের বিষয়ে কেউ ভাবেননি। তবে এখন চাষীরা বিশেষ চা উৎপাদন করে এবং প্রতি কেজি ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। আসাম যদি তার চা ভালো দামে বিক্রি করতে পারে, তবে ত্রিপুরা কেন তা করতে পারে না? আমরা মানসম্পন্ন চা উৎপাদন করছি।
চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি ত্রিপুরা রাজ্য সরকার চায়ের জন্য একটি অফিশিয়াল লোগো উন্মোচন করেছিল এবং পানীয়গুলো জনপ্রিয় করার জন্য ত্রিপুরেশ্বরী টি ব্র্যান্ড প্রকাশ করেছিল। ত্রিপুরায় বছরে প্রায় ৯০ লাখ কেজি গ্রিন টি জন্মে। এর বেশিরভাগ কলকাতা এবং গুয়াহাটির নিলাম কেন্দ্রগুলোতে পাঠানো হয়।