শুক্রবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৯, ০৯:২৫:১৪

হংকংয়ে গণতান্ত্রিক বিক্ষোভ সমাবেশে চীনা সেনাবহরের আকস্মিক উপস্থিতি!

হংকংয়ে গণতান্ত্রিক বিক্ষোভ সমাবেশে চীনা সেনাবহরের আকস্মিক উপস্থিতি!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রত্যাখ্যান করা হলো হংকং বি'ক্ষো'ভকারীদের দাবি। অধিকৃত হংকংয়ের শাসক হিসেবে দেশটির ওপর প্রত্যার্পণ আইন আরোপের নিজেস্ব সিদ্ধান্তেই অটল রইলো চীন সরকার। সেই সঙ্গে দ্বীপরাষ্ট্রটির বুকে চীন সেনাবহরের আক'স্মিক উপস্থিতি, বাড়িয়ে তুলেছে উৎকন্ঠা।

হংকংয়ের কেন্দ্রীয় সেনা ক্যান্টনমেন্টের নিকটবর্তী এলাকায় সারিবদ্ধ সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যান দেখা যায়। আজ শুক্রবার চীনের কেন্দ্রীয় সরকারের ঘনিষ্ঠ তিনজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স প্রকাশিত এক সংবাদে বলা হয়, প্রত্যার্পণ আইনের প্রত্যাখ্যানসহ বি'ক্ষো'ভকারীদের পেশকৃত ৫ দফা দাবির প্রস্তাবনা নাকচ করে দিয়েছে চীন সরকার। 

হংকংয়ের স্থানীয় সরকার প্রধান কেরি ল্যাম আন্দোলনকারীদের এই দাবির প্রস্তাবনা চীন সরকারের বিবেচনার জন্য প্রেরণ করলে, তা তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাখ্যান করে চীন। পাশাপাশি এ প্রসঙ্গে বি'ক্ষো'ভকারীদের কোনও দাবির কথা আমলে না নেয়ার জন্যেও নির্দেশ দেয়া হয় হংকং কর্তৃপক্ষকে।

কর্মকর্তারা জানান, হংকংয়ের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি যতটা জটিল বলে মনে হচ্ছে আসলে তা আরও এর চেয়েও গভীরে পৌঁছে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে কেরি ল্যাম সরকারের কিছু করার নেই বরং সম্পূর্ণ বিষয়টি চীনের কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে নিয়ন্ত্রিত হবে।

এর আগে অধিকৃত হংকং ও ম্যাকাও রাষ্ট্র দুটির পরিচালনা কার্যক্রম তদারকিতে নিয়োজিত চীনের পরররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন ‘হংকং-ম্যাকাও অ্যাফেয়ার্স অফিস’-এর নিকট আন্দোলনকারীদের দাবির বিষয়টি অবগত করে হংকংয়ের কেরি ল্যাম সরকার। পরে চীনের কেন্দ্রীয় সরকার বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছে বলে জানায় তারা।

এছাড়া হংকং বি'ক্ষো'ভ নিয়ন্ত্রণে আগের চেয়ে কঠিন অবস্থান গ্রহণ করেছে দেশটির পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) এই আন্দোলনের মূল নেতা জশুয়া ওয়ংকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপরদিকে বি'ক্ষো'ভ দমনে সামরিক শক্তি প্রয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানা গেছে। 

এরইমধ্যে হংকংয়ের কেন্দ্রীয় সেনা ক্যান্টনমেন্টের নিকটবর্তী ও দেশটির উপকূলবর্তী আরও বেশ কয়েকটি এলাকা দিয়ে চীনা সামরিক বহর ‘গোপনে’ হংকংয়ে প্রবেশ করছে। রয়টার্স জানায়, দেশটির কয়েকটি এলাকায় সারিবদ্ধ সাঁঝোয়া যানের উপস্থিতি চোখে পড়েছে বলে তথ্য রয়েছে। বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা নিশ্চিত করেছে, সেগুলো চীনের সামরিক বহর।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে