সোমবার, ০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ০৯:২৭:১৬

'এক কাপড়ে বেরিয়ে এসেছি, বাচ্চার দুধটাও আনতে পারিনি'

'এক কাপড়ে বেরিয়ে এসেছি, বাচ্চার দুধটাও আনতে পারিনি'

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : স্বামীর কাঁধে মাথা দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে নিজের বাড়ির দিকে এগোচ্ছিলেন স্মিতা বসাক। কিন্তু হাজার চেষ্টা করেও বাড়ির গলিতে ঢুকতে পারেননি তিনি। বাড়িতে ফাটল ধরা পড়ায় দেড় বছরের বাচ্চাকে নিয়ে হোটেলে উঠতে হয়েছে স্মিতাদেবীকে। 

ছেলের দুধটুকুও নিয়ে আসতে পারেননি। টাকাপয়সা-নথিপত্র তো অনেক দূরের ব্যাপার! সোমবার সকালেও পুলিশ, মেট্রোকর্মীদের দেখে তার আকুতি, ‘আমাদের বাড়িটা ফিরিয়ে দিন। কেন আপনারা পরীক্ষা না করে সুড়ঙ্গ করছিলেন? কেন এক জামা-কাপড়ে বেরিয়ে আসতে হল আমাদের? বাচ্চার মুখের দুধ‌ও ফেলে আসতে হল! কে দায় নেবে?’

পথচলতি মানুষ, ওই এলাকার অন্যান্য বাস্তুহারারা, কান্নায় ভেঙে পড়া স্মিতাদেবীকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন। যদিও তার কোনও প্রশ্নেরই জবাব দিতে পারেননি পুলিশ বা মেট্রোকর্মীরা।

কলকাতার দুর্গা পিতুরি লেনের বাসিন্দা স্মিতাদেবীর স্বামী প্রিয়ম বসাক বলেন, ‘আগে থেকে আমাদের কোনও ভাবে সতর্ক করা হয়নি। দেওয়া হয়নি কোনও নোটিস। উল্টে ইঞ্জিনিয়াররা আমাদের বলেছিলেন, কিছুই হবে না। চাপা পড়েও মরে যেতে পারতাম আমরা।’

স্মিতা-প্রিয়মের মতো অবস্থা ওই এলাকার অন্য বাসিন্দাদেরও। ছোট থেকে ক্রমশই বড় হচ্ছে ফাটল। কলকাতার সেকরা পাড়ার বাসিন্দা নিরঞ্জন পাল বলেন, ‘ওই এলাকার বাড়িগুলি ৫০ থেকে ৬০ বছরের পুরনো। মেট্রো রেলের ইঞ্জিনিয়ারদের সে কথা মাথায় রাখা উচিত ছিল। অনেক বড় বিপদ ঘটে যেতে পারত।’ আনন্দবাজার

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে