আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইন্টারনেট, মোবাইল পরিষেবা বন্ধ। রাতে বাড়িতে হানা দিয়ে যুবকদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনী। গোটা রাজ্যের বিরোধী নেতারা বন্দি। কাশ্মীরে এ ভাবেই নরেন্দ্র মোদি সরকার কার্যত ‘সামরিক একনায়কতন্ত্র’ চালাচ্ছে বলে শুক্রবার কলকাতায় দাবি করলেন সিপিআই (এমএল) নেত্রী কবিতা কৃষ্ণন।
কাশ্মীরে সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞা জারির পরেই সেখানে যায় চার সদস্যের এক প্রতিনিধি দল। তাতে কবিতা ছাড়াও ছিলেন অর্থনীতিবিদ জঁ দ্রেজ এবং আরও দুই সমাজকর্মী মাইমুনা মোল্লা ও বিমল ভাই। শুক্রবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে তাদের তৈরি ভিডিয়ো রিপোর্ট ‘কাশ্মীর কেজড’ দেখানো হয়। তাতে ধরা রয়েছে উপত্যকার নানা অংশের খণ্ডচিত্র।
কবিতার বক্তব্য, ‘অনেক রাজনৈতিক নেতা কাশ্মীরে যাওয়ার কথা ঘোষণা করায় তাদের শ্রীনগর বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয়। কিন্তু আমরা যাওয়ার কথা ঘোষণা করিনি। তাই হয়তো উপত্যকায় পৌঁছতে পেরেছিলাম।’
তিনি জানালেন, অনেক সময়ে বাহিনী আটকালেও নানা ভাবে জওয়ানদের বুঝিয়ে উপত্যকার নানা প্রান্তে যেতে পেরেছেন তারা। কেবল শ্রীনগরের মাইসুমা এলাকায় একটি ঘটনার খবর পেলেও সিআরপিএফের বাধায় যেতে পারেননি তারা। পরে জেনেছিলেন সেখানেই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিকের বাড়ি।
তার বক্তব্য, ‘সরকারের অনেক কর্মকর্তা বলছেন কিছু দিন মোবাইল-ইন্টারনেট না চললে কী হয়েছে? কিন্তু এই কারণে কাশ্মীরের অনেক গরিবের চিকিৎসা আটকে যাচ্ছে। কারণ যে সরকারি প্রকল্পের অধীনে তাদের বিনা খরচে চিকিৎসা হতে পারে ইন্টারনেটের অভাবে সেই প্রকল্পের সাইটে লগ ইন করতে পারছেন না চিকিৎসকেরা।’
কৃষ্ণনের দাবি, ভারতের মতো পাকিস্তান সরকারও কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তান বিবাদ তৈরি করতে চায়। পাক-অধিকৃত কাশ্মীরেও একনায়কতন্ত্র চলার নজির রয়েছে। কাশ্মীরিদের অধিকার নিয়ে গোটা দেশের মুখ খোলা উচিত। সূত্র : আনন্দবাজার