আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কাঠের দরজায় লেখা 'সরি আম্মা'। হাতের লেখাটা ১২ বছরের এক কন্যাশিশুর। উদ্ধারকারীরা তাকে সেফ হোমে নিয়ে যেতে এলে তাড়াহুড়ো করে এতটুকু সে লিখে যেতে পেরেছিল।
গত দুই বছর ধরে দিনের পর দিন যৌ'ন নি'র্যা'তনের শি'কা'র হয়েছে ওই শিশু। দুই বছরে অন্তত ৩০ জনের বিছানায় যেতে তাকে বাধ্য করেছিল তার বাবা। ম'র্মা'ন্তিক এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের কেরালার মলপ্পুরমে।
তার ওপর নি'র্যা'তন শুরু হয়েছিল, যখন বয়স মাত্র ১০ বছর। বেকার বাবার উপার্জনের সহজ রাস্তা ছিল স্ত্রী ও ১২ বছরের মেয়েকে যৌ'ন ব্যবসায় নামিয়ে দেয়া। দিনের পর দিন নি'র্যা'ত'নের শি'কা'র হতো স্ত্রী-মেয়ে, আর কাঁচা টাকায় হাত ভরাত বাবা। এভাবেই চলছিল।
সম্প্রতি জানাজানি হয়ে যাওয়ায় ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রে'ফ'তার করা হয়েছে মেয়েটির বাবা এবং বাবার দুই বন্ধুকে। দুই কামরায় ছোট কাঠের ঘরের একটা কামরায় মেয়ে থাকত। পাশের ঘরে তার বাবা-মা।
যখনই টাকায় টান পড়ত কাউকে না কাউকে মেয়ের ঘরে ঢুকিয়ে দিত বাবা। বিনিময়ে মিলত কাঁচা টাকা। এ ভাবেই দুই বছর ধরে নি'র্যা'তন চলছিল তার ওপর। গত শনিবার এই ঘটনা সামনে আসে। শনিবার তাকে ঘর থেকে হোমে নিয়ে যায় চাইল্ডলাইন।
বাবা হয়ত মেয়ের কথা ভাবেনি, মেয়েকে পণ্য হিসাবে ব্যবহার করেছে, মাও মেয়ের পাশে দাঁড়ায়নি, কিন্তু সে চলে গেলে পরিবারের উপার্জনের রাস্তা যে একেবারেই বন্ধ হয়ে যাবে, উদ্ধারের সময়ও সেটাই সবচেয়ে বেশি ভাবিয়েছে ওই নাবালিকাকে। বাড়ি ছাড়ার আগে তাই ছোট হাত কাঠের দরজায় লিখে দিয়েছে, ‘সরি আম্মা’। সূত্র : এবিপি