আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের যখন অযোধ্যা ইস্যুতে নতুন করে চর্চা, ঠিক তখনই এক খবরে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য। টুইটার, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপে ঘুরছে এমনই এক ছবি।
আর সেই ছবির সঙ্গে দাবি— কর্নাটকে এক মসজিদ ভাঙতেই ভিতর থেকে এক মন্দিরের খোজ পাওয়া গিয়েছে। এখানেই শেষ নয়, ছবি বা খবরের সত্য-মিথ্যা যাচাই না করে অনেকে ‘এর প্রতিবাদে সব মসজিদ ভেঙে ফেলা উচিত’-এর মতো মারাত্মক বার্তাও ছড়িয়ে পড়েছে।
সম্প্রতি উমা গার্গি নামে এক টুইটার ব্যবহারকারী এমনই মন্তব্য করেছেন সেই ছবি পোস্ট করে। এর পরে অনেকেই সেই পোস্ট রিটুইট করা ছাড়াও আলাদা করে টুইট করতে থাকেন।
ফেসবুকের পাতায় প্রথম এই ছবি পোস্ট করে মন্দির আবিষ্কারের দাবি করেন রামানি পরশুরাম নামে এক ব্যক্তি। এর পর থেকেই এই খবর ছড়িয়ে পড়ে। সত্য-মিথ্যা যাচাই না করে যা ক্রমশই ভাইরাল হচ্ছে।
পরে জানা গেল ছবিটি ভূয়া। এই ছবি আসলে এক ডিজিটাল শিল্পীর সৃষ্টি। ছবির নীচে তা উল্লেখ করাও রয়েছে। কিন্তু যারা ছড়াচ্ছেন এই ভুয়ো খবর তারা খেয়াল করেও দেখছেন না যে ছবির নীচে রয়েছে লোগো— ‘চন্দ্র কালারিস্ট’।
চন্দ্র কালারিস্ট নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে ওই ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন। সেখানে এটাও উল্লেখ করা ছিল যে, এটি একটি ডিজিটাল পদ্ধতিতে তৈরি করা ছবি। এই ধরনের অনেক ডিজিটাল ছবিই তৈরি করেছেন চন্দ্র কালারিস্ট। আর সেই সব ছবিও নানা ভাবে, নানা খবর তৈরি করে।
নেটিজেনরা অনেকেই তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। কিন্তু পরে দেখা গিয়েছে, সে সব খবর গোটাটাই মিথ্যায় মোড়া। শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেই শেষ নয়, অনেক এই সব ছবিকে কেন্দ্র করে করে বড় বড় নিবন্ধও লিখে ফেলেছেন অতীতে। সূত্র : এবেলা