আন্তর্জাতিক ডেস্ক : স্থানীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে জম্মু ও কাশ্মীরে তুলে নেওয়া হচ্ছে গৃহব'ন্দী রাখার আইন। ৩৭০ ধারা বাতিলের দিন থেকে এই আইন বলবত করা হয়েছিল। এরপর প্রায় দুমাস সময় অতিক্রান্ত। জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন জম্মুর জন্য এই আইন তুলে নেওয়া কথা জানিয়েছে।
যদিও কাশ্মীরের উত্তাংশে এই আইন এখনও বলবত রয়েছে। জম্মুর যেসব নেতাকে গৃহব'ন্দী করে রাখা হয়েছিল তাদের মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাদের ওপর যে নি'ষে'ধা'জ্ঞা বলবত করা হয়েছিল, তাও তুলে নেওয়া হয়েছে।
জম্মুর ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা দেবেন্দর রানা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রশাসনের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই তাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তার চলাচলের ওপর কোনও নি'ষে'ধা'জ্ঞা নেই। রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার একদিন পরেই নতুন সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
ভারতীয় মিডিয়ার খবর অনুযায়ী, জম্মুতে মোটামুটি শান্তি বিরাজ করে। সেই জন্যই জম্মু ও কাশ্মীরের প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা ব্লক ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের নির্বাচন ঘোষণার পর দিনই আটক নেতাদের মুক্তি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে প্রশাসন।
যেসব নেতাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন, দেবেন্দর রানা, রমন ভাল্লা, হর্ষদেব সিং, চৌধুরী লাল সিং, ভিকার রসু, জাভেদ রানা, সুরজিত সিং স্লাথিয়া এবং সাজ্জাদ আহমেদ কিচলু।
জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা দানকারী ৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকে প্রায় ৪০০ নেতা নেত্রীকে গৃহবন্দী করেছিল প্রশাসন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, তিন সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি, ওমর আবদুল্লা, ফারুক আবদুল্লা। ৮৩ বছর বয়সী ফারুক আবদুল্লাকে পাবলিক সেফটি অ্যাক্টে গৃহবন্দী করা হয়েছে। এই আইনে কাউকে ট্রায়াল চাড়াই তিন থেকে ছয়মাস পর্যন্ত আ'ট'ক রাখা য়ায়।