‘ইসলাম ক্ষমা ও দয়ার ধর্ম’
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবদু ওয়ালাল কাইস বিশ্ববাসীকে সুপথ দেখানোর ক্ষেত্রে একজন বড় আলেম হিসেবে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার ভূমিকাকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা পশ্চিমা যুবসমাজের উদ্দেশে লেখা দ্বিতীয় চিঠির মাধ্যমে বিশ্ববাসী বিশেষকরে পাশ্চাত্যের কাছে ইসলামের শান্তিকামী ও দয়াদ্র চেহারা তুলে ধরতে চেয়েছেন বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
অধ্যাপক আবদু ওয়ালাল কাইস এ প্রসঙ্গে আরও বলেছেন, এ চিঠিতে ইসলামকে ক্ষমা ও দয়ার ধর্ম হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতার এ চিঠির ব্যাপারে পাশ্চাত্যের নানা মহলের প্রতিক্রিয়া প্রসঙ্গে ফিলিস্তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবদু ওয়ালাল কাইস আরও বলেছেন, ‘এ চিঠি আন্তর্জাতিক মহলে তার যথাযোগ্য প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়েছে। আর এ জন্যই তা ইংরেজি, ইতালীয় ও ফরাসী ভাষাসহ নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ইরানের ইসলামী বিপ্লবের বর্তমান প্রধান এই চিঠিতে যেসব খাঁটি বাস্তবতার কথা তুলে ধরেছেন পাশ্চাত্যের সাধারণ নানা মহল এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেখানোর বা সাড়া দেয়ার চেষ্টা করছে।
ফ্রান্সে গত ১৩ নভেম্বরের সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষাপটে গত ২৯ নভেম্বর পশ্চিমা যুব সমাজকে সম্বোধন করে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হযরত আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী তার দ্বিতীয় ঐতিহাসিক খোলা চিঠি দিয়েছেন। এর আগে ফ্রান্সে ফরাসি ম্যাগাজিন শারলি এবদোর দফতরে হামলার ঘটনার পর ইউরোপ ও আমেরিকার যুবসমাজকে সম্বোধন করে গত বছরের জানুয়ারি মাসেও একটি খোলা চিঠি দিয়েছিলেন তিনি।-রেডিও তেহেরান
২২ ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন