আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিয়ে করতে গিয়ে বর উদ্দাম নাগিন ডান্স দেন। আর সেটা দেখে বেঁকে বসেন কনে। ভারতের উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেড়ির বরের নাচের হুল্লোড়ে বি'র'ক্ত হয়ে সঙ্গে সঙ্গে বিয়ে বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন কনে।
দিন তিনেক আগে মালা বদলের সময় ম'দের নে'শায় ডিজে চালিয়ে উদ্দাম নাগিন ড্যান্স দিতে থাকেন বর ও বরযাত্রীদের একাংশ। অবস্থা অন্যদিকে যাচ্ছে এমন খবর পেয়ে পুলিশও পৌঁছায় ছাদনাতলায় এবং পরিবেশ শান্ত করে। বরপক্ষ বিবাহের উপহার ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। আইটিআই ডিপ্লোমা কন্যার পাত্রটি কলেজও পাস করতে পারেননি বলে জানা গেছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বরযাত্রী আসার পর বন্ধুসহ ডিজের সামনে গিয়ে তুমুল নাচ শুরু হয়। যখন মেয়ের পরিবার রীতেশকে ডিজে ফ্লোর থেকে সরে আসতে আর ডিজে চালাতে বারণ করেন, তখন তারা অসভ্যতা শুরু করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
পরে রীতেশকে বুঝিয়ে সরিয়ে এনে মালাবদলের আয়োজন করা হয়। কিন্তু এরপর আবারো ডিজে ফ্লোরে চলে যান রীতেশ এবং জোরে গান বাজিয়ে নাগিন ড্যান্স দিতে শুরু করেন। বরের এই আচরণে তা'জ্জ'ব হয়ে যান কনে এবং তখনই বিয়ে ভেঙে দেন।
এরপর রীতেশ এবং তার বাড়ির লোকজন পাত্রীকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু বিয়ে না করার সিদ্ধান্তে অটল থাকেন তিনি। পরে রীতেশ এবং তার বন্ধুরা পাত্রী ও পাত্রীপক্ষের সঙ্গে জোর জ'ব'রদ'স্তি শুরু করেন। একপর্যায়ে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ছাদনাতলায় পুলিশ হাজির হয়।
পাত্রপক্ষ পুলিশকে জানায়, বিষয়টি তারা নিজেরাই মিটিয়ে নেবেন। রীতেশের পরিবার বিবাহের উপহার ফেরত দেওয়ার পাশাপাশি বিয়ের খরচের একাংশ দিতে সম্মত হয়।
কনের ভাই টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, বিয়ে নিয়ে কোনো ভাবনাই ছিল না বরের। এসব যা করেছে তা সহ্য করা যায় না। আমার খারাপই লাগছে যে বোনের বিয়ে ভেঙে গেছে। কিন্তু, আমরা ওর সিদ্ধান্তের সমর্থনেই আছি। আমার বোন যা করেছে তা একেবারে সঠিক।
পুলিশ বলছে, অভিযোগ পাওয়ার পর তড়িঘড়ি সেখানে পৌঁছানো হয়। পরিবারের বড়দের সঙ্গে পরামর্শ করেই বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হয়। পাত্র লিখিতভাবে জানিয়েছে, ১৪ নভেম্বরের মধ্যে বিবাহের উপহার ফেরত দেবে এবং বিয়ের সম্পূর্ণ খরচও দেবে।