আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের মধ্যপ্রদেশের ভোপাল এলাকার বাসিন্দা মহেশ। সংগীতার সঙ্গে বিয়ে হয় তার। তাদের বৈবাহিক জীবন দীর্ঘ সাত বছর চলছিল। বিয়ের আগে সংগীতার সঙ্গে অন্য এক পুরুষের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু দীর্ঘ সাত বছরের বৈবাহিক জীবনে তার তিলমাত্র প্রভাব পড়তে দেননি সংগীতা।
দুই সন্তানেরও জন্ম দেন তিনি। স্ত্রী ও মা হিসেবে খুঁটিনাটি দায়িত্ব করে যান। এদিকে, সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু কয়েক বছর আগে পুরানো প্রেমিকের সঙ্গে দেখা হয় সংগীতার। তারপর থেকেই সুখ ক্র'ম'শ কমতে থাকে মহেশ-সংগীতার জীবনে।
স্ত্রী কেন এমন মনমরা হয়ে থাকেন খুঁজতে গিয়ে মহেশ জানতে পারেন সংগীতের পুরানো সম্পর্কের কথা। জানতে পারেন, সেই প্রেমিককে মেনে নিতে পারেননি সংগীতার বাবা। তাই পরিবারের চা'পে পড়ে একসময় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার মহেশকে বিয়ে করতে বা'ধ্য হন ফ্যাশন ডিজাইনার সংগীতা।
এই ঘটনা শুনার পর স্ত্রী এভাবে বাকি জীবনটা কাটাবেন, চাননি মহেশ। তাই মহেশ স্থির করেন, সংগীতাকে তিনি তার সাত বছর আগের প্রেমিকের কাছে ফিরিয়ে দেবেন। ঘটনাটি যখন পারিবারিক আদালতের কাছে পৌঁছায়, তখন আদালত দুইজনকেই কাউন্সিলিংয়ের পরামর্শ দিয়েছিল।
কাউন্সিলিংয়ের সময় মহেশ জানান, তিনি বারবার তার স্ত্রীকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। সংগীতা পুরানো প্রেমিকের কাছে ফিরতে চান। সংগীতাও একই কথা বলেন।
মহেশ এরপর আদালতকে জানান, তিনি চান না তার আর সংগীতার সম্পর্কের প্র'ভা'ব তাদের সন্তানদের ওপর পড়ুক। তাই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে ডি'ভো'র্সের পর মহেশ সন্তানদের তার কাছে রাখার আবেদন জানিয়েছেন। সংগীতাও অ'স'ম্ম'ত হননি। সূত্র: সংবাদপ্রতিদিন।