যেভাবে বার্মিংহামে গেল প্রাচীনতম সেই কোরআন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসলামের প্রথম খলিফা হযরত আবুবকর (রা.)-এর সময়কার পবিত্র কোরআনোর একটি কপি আবিস্কার করা হয়েছে। গত জুলাইয়ে ব্রিটেনের বার্মিংহামে প্রাচীনতম কোরআনের কিছু পাতা উদ্ঘাটন করা হয়। সে সময় হাতে লেখা এ পাতাগুলোর সময়কাল নিয়ে যে তথ্য বলা হয়েছিল, তাতে বিস্ময়ের পাশাপাশি কিছুটা অবিশ্বাসও দেখা দেয়। সবচেয়ে বড় প্রশ্নটি ছিল এর উৎপত্তিস্থল নিয়ে।
বলা হচ্ছে, ভেড়া বা ছাগলের চামড়ায় লিখিত এই পাতাগুলো একেবারে প্রথম দিককার পূর্ণাঙ্গ আকারে গ্রন্থিত কোরআনের অংশ। এগুলোকে হজরত মুহাম্মদের (সা.) পর ইসলামের প্রথম খলিফা হজরত আবু বকরের (রা.) সময়ে লিখিত কোরআনের অংশ বলে দাবি করছেন গবেষকরা। রেডিওকার্বন পরীক্ষায় এই পাতাগুলোর যে বয়স চিহ্নিত হয়েছে, তাতে এগুলো মহানবীর (সা.) ইন্তেকালের ১৩ বছর পর লিখিত বলে মনে করা হচ্ছে। গবেষকরা বলছেন, বার্মিংহামে পাওয়া এক হাজার ৩৭০ বছরের পুরনো এই পাতাগুলো এক সময় মিসরের ফুস্তাতে প্রাচীনতম আমর ইবনে আল আস মসজিদে ছিল। ফ্রান্সের জাতীয় গ্রন্থাগারে সংরক্ষিত প্রাচীন একটি কোরআনের কপির সঙ্গে এই পাতাগুলোর মিল পাওয়ার পরই গবেষকরা এমন দাবি করছেন। কোরআন ইতিহাসবিদ ও কলেজ দে ফ্রান্সের শিক্ষাবিদ ফ্রাঁসোয়া ডেরোশের দাবি, ফ্রান্সের গ্রন্থাগারে রক্ষিত পাতাগুলো বার্মিংহামে পাওয়া কোরআনেরই অংশ। ১৯ শতকের শুরুর দিকে নেপোলিয়ন বোনাপার্টের অধীনে ছিল মিসর। তখন সেখানে তার ভাইস কনসাল ছিলেন আসেলিন দে শারভিল। তিনিই ইসলামের প্রাচীন আরও অনেক নথিপত্রের সঙ্গে পবিত্র কোরআনের কিছু পাতা ফ্রদ্ধান্সে নিয়ে গিয়েছিলেন। ফ্রাঁসোয়া ডেরোশের মতে, ওই কোরআনের বাকি অংশ ১৯ শতকের শেষ দিকে ঠাঁই হয় মিসরের জাতীয় গ্রন্থাগারে। সেখান থেকেই কোনোভাবে এর অংশবিশেষ অ্যান্টিক মার্কেটে চলে যায়। এর পর বিক্রি হতে হতে ১৯২০ সালের দিকে এগুলো চলে যায় বার্মিংহামে। সূত্র: বিবিসি
২৪ ডিসেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস
�