আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উত্তর সিরিয়ায় তুরস্কের অ'ভিযা'ন নিয়ে শুক্রবারও ন্যাটোতে বি'ত'র্ক হয়েছে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রনের ম'গ'জ অ'কে'জো হয়ে পড়েছে কিনা; তা পরীক্ষা করা প্রয়োজন বলে দাবি করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।
ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, ম্যাঁক্রনের স'মালো'চ'নার জবাব দিতে গিয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেছেন। এরদোগান আরও দাবি করেন, ম্যাক্রন অনভিজ্ঞ। তিনি জানেন না– স'ন্ত্রা'স কাকে বলে।
সিরিয়ায় তুরস্কের অ'ভিযা'ন নিয়ে ম্যাঁক্রনের স'মা'লো'চ'নায় অ'সু'স্থ'তা ও হা'ল'কা অ'ভি'জ্ঞ'তার প্রতিফলন ঘটেছে বলেও জানান তুরস্কের এই নেতা।
তুরস্ককে ন্যাটো থেকে ব'হিষ্কা'রে চে'ষ্টা নিয়ে ম্যাঁ'ক্র'নকে হু'শিয়া'রি করে বলেন, এটা ফরাসি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব না। ন্যা'টো'তে এমন কোনো বিধান নেই যে সংস্থাটির একজন সদস্যকে ব'হি'ষ্কা'র করা যাবে।
ই'কনো'মি'স্ট সাময়িকীকে দেয়া ম্যাক্রনের এক সাক্ষাতকারকে কেন্দ্র করে এই দুই ন্যাটো মিত্রর মধ্যে দ্ব'ন্দ্বে'র সূত্রপাত হয়েছে। গত ৯ অক্টোবরে কুর্দিশ অঞ্চলে তুর্কির উ'ন্ম'ক্ত অ'ভি'যা'ন নিয়ে ন্যাটো মিত্রদের স'ম'ন্ব'য়ের অ'ভা'বের কথা উল্লেখ করে ম্যাঁক্রন বলেন, আমার আ'শ'ঙ্কা, ন্যাটোর ম'গ'জ অ'কা'র্যক'র হয়ে পড়েছে।
ন্যাটো মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই সিরিয়ায় অভিযানে তুরস্ককে সবুজ সংকেত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। এতে ব্যাপক স'হিং'স'তা ও মানবিক বি'প'র্য'য় দেখা দিয়েছে। এছাড়া রাশিয়া ও সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাসার আল-আসাদের অবস্থান শ'ক্ত হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে।
বুধবার ন্যাটো নেতাদের মূল বৈঠকের আগে মঙ্গলবার লন্ডনের ডাউনিং স্ট্রিটে এরদোগানের সঙ্গে বসবেন যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানিসহ ইউরোপীয় নেতারা। এসময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লন্ডনে উপস্থিত থাকলেও তিনি ওই বৈঠকে থাকবেন না বলেই ধারনা করা হচ্ছে।
বৈঠকের আগে এরদোগান বলেন, তুরস্ক থেকে ম্যাঁক্রনকে এ বিষয়ে আমি বলেছি। ন্যাটোর সঙ্গেও আলোচনা করবো। কাজেই আপনার ম'গ'জ অ'কা'র্যক'র হয়ে পড়েছে কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখবেন। ন্যাটোতে তুরস্ক থাকবে কিংবা ব'হি'ষ্কা'র হবে কিনা, তা নিয়ে আলোচনা করা ম্যাঁক্রনের দায়িত্ব না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
তুরস্কের এই নেতা বলেন, সিরিয়া থেকে যেসব হু'ম'কি'র মুখোমুখি আমরা হচ্ছি, বিভিন্ন সময় তাকে সেই ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি তা কিছুতেই বুঝতে চাচ্ছেন না। বিশ্বাস করুন, ম্যাঁক্রন খুবই অনভিজ্ঞ। স'ন্ত্রা'সের বি'রু'দ্ধে ল'ড়া'ই কী, তা তিনি বোঝেন না। যে কারণে ইয়েলো ভেস্ট আন্দোলন পুরো ফ্রান্সকে গ্রা'স করে ফেলছে।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিজের নাগরিকদেরই অধিকার আদায়ে ব্য'র্থ হয়েছেন বলে মন্তব্য করেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।