আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে হিন্দুত্বের পথেই চলবেন বলে সাফ জানালেন শিব সেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। রবিবার মহারাষ্ট্র বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন বক্তব্য রাখতে উঠে এই মন্তব্য করেন তিনি। এর পাশাপাশি রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিসেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।
বিধানসভায় দাঁড়িয়ে পরিষ্কার বলেন, 'দেবেন্দ্র ফড়ণবিস আমার খুব ভাল বন্ধু। ওনার থেকে অনেক কিছু শিখেছি। আগামীতেও সেই বন্ধুত্ব বজায় থাকবে। আর হিন্দুত্বের নীতিতে এখনও বিশ্বাস করি। কোনও অবস্থাতেই তা থেকে সরে যাব না।'
উদ্ধব ঠাকরে বলেন, 'গত পাঁচ বছর সরকারে থাকাকালীনও জোট শরিককে ঠকাইনি। আজ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও নিজেকে খুব ভাগ্যবান বলে মনে করি। কারণ, অতীতে যারা বিরোধিতা করতেন তারা আজ আমার সঙ্গে রয়েছেন। আর সেসময় যারা শরিক ছিলেন তারা আজ বিরোধী শিবিরে। কাউকে কোনওদিন এই জায়গায় আসার কথা বলিনি। কিন্তু, তারপরও আমি এখানে।'
এরপরই বিধানসভায় আজই বিরোধী দলনেতা হিসেবে নির্বাচিত হওয়া দেবেন্দ্র ফড়ণবিসকে ক'টা'ক্ষ করে তিনি বলেন, 'আপনাকে আমি বি'রো'ধী নেতা না বলে একজন দায়িত্বপূর্ণ নেতা বলে চাই। আপনি যদি নিজের দায়িত্ব ঠিক করে পালন করতেন তাহলে বি'চ্ছে'দ হত না।'
মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে টা'নাপো'ড়ে'নের সময় অযোধ্যা মামলার রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। বি'ত'র্কিত জমিতে রামলালার মন্দির গড়তে নির্দেশ দিয়েছিল প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চ। তারপরই অযোধ্যা যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন শিব সেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে।
আসলে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ভাঙার সময় শিব সৈনিকরা যে ভূমিকা পালন করেছিলেন তার কৃতিত্বের ভাগ অন্য কেউ নিক তা চাননি তিনি। কিন্তু, সেসময় এনসিপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গঠনের প্রক্রিয়া চলছিল তাদের। তাই তাকে অযোধ্যা যেতে বারণ করেছিলেন এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পওয়ার। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্নে বিভোর থাকা উদ্ধব সেই নি'ষে'ধ অ'মা'ন্য করতে পারেননি। তাই যাননি অযোধ্যাতেও।
কয়েকদিন আগে মহারাষ্ট্র ডেভেলপমেন্ট ফ্রন্ট গঠন করে মহারাষ্ট্রের মসনদে বসে কংগ্রেস, শিবসেনা ও এনসিপি জোট। আর জোটের নেতা হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন উদ্ধব। ঠিক তার আগের দিন অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচির তালিকাও প্রকাশ করা হয় জোটের তরফে। তাতে হিন্দুত্বের ব'দ'লে গু'রু'ত্ব পেয়েছিল ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ।
যা দেখে সবাই ভেবেছিলেন দলের জন্মলগ্নে থেকে মেনে চলা হিন্দুত্বের নীতি কি আগেও মেনে চলবে বালাসাহেব ঠাকরের দল। না কি নতুন জোট শরিকদের সঙ্গে পা মিলিয়ে চলবে ধর্মনিরপেক্ষতার পথে! কিন্তু, রবিবার সেই জল্পনার অবসান ঘটালেন সেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে।