সোমবার, ০২ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০৪:৩৯:৫৫

রাতে পুলিশের অভিযানে গেস্ট হাউস থেকে ৬৭ যুবতী উদ্ধার!

রাতে পুলিশের অভিযানে গেস্ট হাউস থেকে ৬৭ যুবতী উদ্ধার!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের মধ্যপ্রদেশে নারীকে ব্যবহার করে পাতা ফাঁ'দ বা বারে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ও অন্যান্য কর্মকর্তারা ৬৭ যুবতী ও অল্প সংখ্যক যুবককে উ'দ্ধা'র করেছে। মধ্যপ্রদেশে নারীদের ব্যবহার করে পাতা 'হানি ট্রা'প' ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ আছে ইন্দোর-ভিত্তিক একজন ব্যবসায়ীর।

তার নাম জিতেন্দর সোনি। তিনি স্থানীয় একটি পত্রিকার মালিক। তার একটি নাইট ক্লাব ও অন্যান্য স্থাপনা থেকে ওইসব যুবতী ও যুবকদের উ'দ্ধা'র করে পুলিশ। এসব যুবক-যুবতী সেখানে বার ড্যান্সার হিসেবে কাজ করতো। শনিবার রাতে জিতেন্দর সোনির বাসভবন ও অন্যান্য স্থাপনায় অভিযান চালায় পুলিশের একটি টিম।

তারা সেখানে থেকে উ'দ্ধা'র করে ওই যুবতীদের। তাদেরকে একটি আশ্রয়ে রাখা হয়েছে এবং তাদের বক্তব্য রেকর্ড করেছে পুলিশ। পুলিশের মতে, এসব যুবতীর বেশির ভাগই আসাম ও পশ্চিমবঙ্গের। তাদেরকে গীতা ভবন ক্রসিংয়ে জিতেন্দর সোনি পরিচালিত বার 'মাই হোম'-এ রাখা হয়েছিল খুব নাজুক পরিবেশে। এসব যুবতীকে বার-এ নাচতে বা'ধ্য করা হতো। কাস্টমাররা যে অর্থ দিতেন তার থেকে সামান্য অংশই পেতেন ওই যুবতীরা।

সিনিয়র এসপি রুচি বর্ধন মিশ্র বলেছেন, অভিযুক্ত জিতেন্দর সোনি পলাতক রয়েছেন। তার ছেলে অমিত সোনিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যুবতীদের আটকে রেখে এভাবে ব্যবসা করায় অমিত সোনির ভূমিকার বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ।

মধ্যপ্রদেশে হানি ট্রা'প চ'ক্রের সঙ্গে প্রভাবশালী রাজনীতিক ও আমলাদের জড়িত থাকার একটি অডিও-ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ করে তার স্থানীয় পত্রিকা ‘সাঞ্ঝা লোকস্বামী’। এরপরই পুলিশ তৎপর হয়। জিতেন্দর সোনির অফিসে এভাবে ত'ল্লা'শির নি'ন্দা জানিয়েছে ইন্দোর প্রেসক্লাব ও সাংবাদিকদের অন্য সংগঠনগুলো। 

তারা বলেছে, পুলিশের এই কাজ হলো মিডিয়াকে ভ'য় দেখানো। তবে রাজ্য সরকারের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ইন্দোর মিউনিসিপ্যালের সাময়িক ব'রখা'স্তকৃ'ত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হরভজন সিংয়ের করা আইটি আইনের অধীনে অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর করা হয়েছে। 

হরভজন সিং দাবি করেছেন, জিতেন্দর সোনির পত্রিকা তার ব্যক্তিগত গো'প'নী'য়'তা ল'ঙ্ঘ'ন করে বিভিন্ন মিডিয়ায় খবর প্রকাশ করেছে। কিছু আ'প'ত্তি'ক'র ভিডিও ক্লিপের মাধ্যমে তাকে ব্লা'কমে'ই'ল করা হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেছেন। তার অভিযোগ এর মাধ্যমে তার কাছ থেকে ৩ কোটি রুপি আদায় করে নেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। 

এর আগে সেপ্টেম্বরে ইন্দোর ও ভুপাল থেকে একই রকম অভিযোগে গ্রে'প্তা'র করা হয়েছে ৫ নারী ও এক পুরুষকে। অ'ভিযু'ক্তরা হলেন আরতি দয়াল (২৯), মনিকা যাদব (১৮), শ্বেতা বিজয় জৈন (৩৯), শ্বেতা স্বপ্নীল জৈন (৪৮), বারখা সোনি (৩৪) ও ওমপ্রকাশ কোরি (৪৫)। সূত্র : জি নিউজ।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে