আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে মুসলিম ছাড়া অন্য শ'র'ণা'র্থীদের নাগরিকত্ব দিতে আনা বিলে অনুমোদন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। বুধবার সকালে ওই বিলে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মোদির মন্ত্রিসভা।
তারপরই দুপুরে তা নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক নানান কথা। নাগরিকত্ব সংশোধন বিলে বলা হয়েছে- পাকিস্তান, আফগানিস্তানসহ প্রতিবেশী রাষ্ট্র থেকে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, জৈন, পারসি ও শিখ শ'র'ণা'র্থীদের নাগরিকত্ব দেয়া হবে।
এ নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী তথা পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্র'ত্যা'হারের পর মেহবুবা এখনও গৃ'হব'ন্দি। সেই অবস্থাতেই টুইট করে মেহবুবা বলেছেন- ‘মুসলিমদের তাহলে কোনো দেশ নেই!’
অন্যদিকে সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, সরকার যে সংশোধন বিল সংসদে পেশ করতে চলেছে তাতে ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেয়ার কথা বলা হয়েছে; যা অসাংবিধানিক। সিপিএম এ বিলের বিরোধিতা করবে।
তাদের মতে, এ সং'ঘা'ত প্রত্যাশিতই ছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহরাও হয়তো চাইছেন সং'ঘা'ত হোক। কারণ বিলকে সামনে রেখে ধর্মীয় মেরুকরণ ঘটানোও বিজেপির বৃহত্তর রাজনৈতিক উদ্দেশ্য।
এ পরিস্থিতিতে কংগ্রেস, তৃণমূলের মতো রাজনৈতিক দলের সামনে স'ম'স্যা কম নয়। প্রস্তাবিত বিলে বি'রো'ধিতা করলে বিজেপি বলবে মুসলিম তো'ষ'ণ করা হচ্ছে। হিন্দু আ'বে'গকে উ'স্কে দেয়ার চেষ্টা তখন হতে পারে।
আবার বিল নিয়ে একেবারে চু'প থাকলে সংখ্যালঘুদের একাংশ অ'খু'শি হওয়ার আ'শ'ঙ্কা রয়েছে। এই সাঁ'ড়া'শি প্যাঁ'চে পড়ে এখন রাস্তা বাকি একটাই। সীতারাম যে পথ নিয়েছেন, সেই পথেই হাঁ'টা। প্রস্তাবিত সংবিধানের শ'র্ত ল'ঙ্ঘ'ন করছে অভিযোগ তুলে বি'রো'ধিতা করা।