আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গণহ'ত্যার দা'য়ে মিয়ানমারের বি'রু'দ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) দা'য়েরকৃত মা'ম'লার শুনানির শুরুতে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের নির্বো'ধ হ'ত্যাকা'ণ্ড ব'ন্ধে দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন গাম্বিয়ার আইন ও বিচারমন্ত্রী।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টার দিকে এ মামলার শুনানির শুরুতে প্রধান বিচারপতির উদ্দেশে তিনি বলেন, গাম্বিয়া যা বলছে তা হলো আপনি মিয়ানমারকে এই নি'র্বো'ধ হ'ত্যাকা'ণ্ড ব'ন্ধ করতে বলুন।
দ্য হেগে রোহিঙ্গা গ'ণহ'ত্যার এ বি'চা'রপ্রক্রিয়ায় দেশের হয়ে আইনি ল'ড়া'ই চালাতে আদালতে উপস্থিত রয়েছেন মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চি। গাম্বিয়ার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির আইন ও বিচারমন্ত্রী আবুবকর মারি তামাবাদু।
মামলার শুনানির শুরুতে তিনি বলেন, ব'র্ব'র এবং নৃ'শং'স এসব কাজ; যা আমাদের সবার বিবেককে আ'ঘা'ত করেছে। এটি এখনও অ'ব্যাহ'ত রয়েছে। নিজ দেশের মানুষকে গ'ণহ'ত্যা ব'ন্ধ করতে হবে।
হেগের আদালতে এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মামলায় গ'ণহ'ত্যার দা'য় অ'স্বী'কারের পক্ষে সাফাই গাইতে ল'ড়ছেন অং সান সু চি। দ্য হেগের শান্তি প্রাসাদে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টার আগে বিশাল গাড়িবহর নিয়ে পৌঁছান মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় এ উপদেষ্টা।
শুনানির শুরুতে এ মামলার প্রধান বিচারপতি আব্দুল কাই আহমেদ ইউসুফ অভিযোগ পড়ে শোনান। সোমালীয় বংশোদ্ভূত এই বিচারপতি পরে গাম্বিয়া ও মিয়ানমারের পক্ষে একজন করে অ্যাডহক বি'চা'রক নিয়োগ দেন। দুই অ্যাডহক বিচারপতি গাম্বিয়ার নাভি পিল্লাই এবং মিয়ানমারের প্রফেসর ক্লাউস ক্রেস। তারা মামলার বি'চা'রপ্র'ক্রি'য়ার শুরুতে শপথ নেন।
আইসিজের রেজিস্ট্রার ফিলিপ গোতিয়ে অন্তর্বর্তী পদক্ষেপের নির্দেশনা চেয়ে গাম্বিয়ার করা এক আবেদনের বিস্তারিত পড়ে শোনান। পরে অধ্যাপক পায়াম আখাভান রাখাইনে গ'ণহ'ত্যার বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মঙ্গলবার জাতিসংঘের গ'ণহ'ত্যা সনদের ৭০তম বার্ষিকী। কিন্তু এ সনদের শর্ত অনুযায়ী গ'ণহ'ত্যা ব'ন্ধ করেনি মিয়ানমার।
আদালত কক্ষে গাম্বিয়ার আইনজীবী দলের সদস্যরা যখন মিয়ানমারের নৃ'শং'স'তার চিত্র তুলে ধরেন তখন নি'র্বি'কার দেখা যায় অং সান সু চিকে। এ সময় আদালতের বাইরে কয়েক ডজন রোহিঙ্গাকে ন্যা'য়বি'চারের দাবিতে সমাবেশ করতে দেখা যায়।
একই সময়ে মিয়ানমারের বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত ইয়াঙ্গুনে সু চির সমর্থনে হাজার হাজার মানুষ সমাবেশ করে। সমাবেশে আসা বার্মিজদের হাতে বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। অনেকেই ‘দেশের মর্যাদা রক্ষায়’, ‘জননী সু চির পাশে দাঁড়ান’ স্লোগান দেন।