আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে কেন্দ্র করে শুক্রবার ভারতের উত্তরপ্রদেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়া হিং'সায় ৬ জন বিক্ষো'ভকারীর মৃ'ত্যু হয়েছে। জানিয়েছে রাজ্য পুলিশ।
তবে, উত্তরপ্রদেশের পুলিশের ডিজিপি ওপি সিং জানান, গোটা রাজ্যে ৬ জনের মৃ'ত্যু হয়েছে। তবে পুলিশের গু'লিতে কারোর মৃ'ত্যু হয়নি।
তিনি বলেন, "আমরা একটি গু'লিও চালাইনি। কমপক্ষে ৫০ জন পুলিশ কর্মী জ'খ'ম হয়েছেন।" পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুসারে, বিজনরে দু'জন বিক্ষোভকারী এবং সামভাল, ফিরোজাবাদ, মেরঠে একজন মারা গেছেন।
সরকারের এক কর্মকর্তা বলেন, "আমরা কারোর উপরে গু'লি চালাইনি। যদি কোনও গু'লি চালানো হয়, তবে তা প্রতিবা'দকা'রীদের পক্ষ থেকে হয়েছিল।"
শুক্রবার নামাজের পরে রাজ্যের ১৩টি জেলা জুড়ে এই নাগরিকত্ব আইন বিরো'ধী বিক্ষো'ভ ছড়িয়ে পড়েছিল। ১৪৪ ধারা অমান্য করে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন সংশো'ধিত নাগ'রিকত্ব আইনের বিরো'ধিতায়। পুলিশের বা'ধার মুখে পড়ে কয়েকটি জায়গায় পাথর ছোড়ে বি'ক্ষু'ব্ধ জনতা।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ শুরু করে এবং টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে। আর এরই মধ্যে সবচয়ে ভ'য়'ঙ্ক'র ঘটনাটি কানপুরে। সারা রাজ্যে মোট ৮ জন গু'লিবি'দ্ধ হন বলে জানা গেছে। পরে পুলিশ জানিয়েছে, হিং'সার কারণে ৬ জনের মৃ'ত্যু হয়।
নাগরিকত্ব সংশো'ধনী আইনের বিরো'ধিতা ক্রমেই সীমানা ছাড়াচ্ছে। বৃহস্পতিবার কর্নাটকে দুজন ও লখনউতে একজনের মৃ'ত্যু হয়েছিল। আর শুক্রবার সকাল থেকেই উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় প্র'তিবা'দ দেখাতে শুরু করে বিক্ষো'ভকা'রীরা।
বৃহস্পতিবারই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানিয়ে দিয়েছিলেন, বিক্ষো'ভকারীদের বুঝে নেবে তার প্রশাসন। অ'ভিযু'ক্তদের সম্পত্তি বেচে সরকারি সম্পত্তির হিসেব নেওয়া হবে। সূত্র : এনডিটিভি