আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) বিরো'ধী বিক্ষো'ভ ঘিরে শনিবারও উ'ত্তা'ল, থমথমে রাজধানী দিল্লিও।
যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে বৃহস্পতিবার থেকে টানা দু'দিনের বিক্ষো'ভ অশান্তিতে নিহ'তের সংখ্যা বেড়ে হল ১১। তাদের মধ্যে আট বছরের এক নাবালকও রয়েছে। শুধুমাত্র প্রয়াগরাজেই ১৫০ জনকে আ'ট'ক করেছে পুলিশ। গাজিয়াবাদে আ'ট'ক ৬৫ জন।
এ দিন সকাল থেকেই উত্তরপ্রদেশের রামপুরে বিক্ষো'ভ শুরু হয়। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে ফা'টানো হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল। যোগীর রাজ্যে গভীর রাত থেকেই কো'প পড়েছে বিভিন্ন জেলার ইন্টারনেট পরিষেবায়। রাজ্যে সিএএ-বিরো'ধী বিক্ষো'ভ পরিস্থিতি নিয়ে এ দিন রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেলের সঙ্গে দেখা করবেন আদিত্যনাথ।
উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন সূত্রে খবর, শুক্রবার বিভিন্ন জেলায় জনতা-পুলিশ সং'ঘর্ষে শুধুমাত্র মেরঠেই নিহ'ত হয়েছেন চার জন। ওই সং'ঘর্ষের মধ্যে পড়েই প'দপি'ষ্ট হয়ে মৃ'ত্যু হয় এক নাবালকের। জেলায় জেলায় সংঘ'র্ষে আহ'ত হয়েছেন বহু মানুষ। পুলিশ সূত্রে খবর, অন্তত ছ'জন পুলিশকর্মীর গু'লি লেগেছে। তাদের অবস্থা গু'রুত'র।
রাজ্য পুলিশের ডিজি ওপি সিংয়ের দাবি, পুলিশকে লক্ষ্য করে গু'লি চালিয়েছে জনতা। তবে সেই দাবিকে নস্যাত্ করে দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভা'ইরা'ল হওয়া কয়েকটি ভিডিও। তাতে দেখা গিয়েছে, জনতা-পুলিশ খ'ণ্ডযুদ্ধের সময় গু'লি চালাচ্ছে উত্তরপ্রদেশের পুলিশকর্মীরা।
গু'লিচালনা ছাড়াও সং'ঘর্ষের সময় পাথর ছোড়া ও পুলিশের একাধিক গাড়িতে আ'গু'ন লাগানোর ঘটনাও ঘটে। জনতাকে ছ'ত্রভ'ঙ্গ করতে গু'লিচালনা উত্তরপ্রদেশ পুলিশের। শুক্রবার মেরঠে।
উত্তরপ্রদেশের জেলার জেলায় সং'ঘর্ষের পর রাত থেকেই লখনউ, বিজনৌর, মেরঠ, ফিরোজাবাদ, কানপুর, সম্বল, মোরাদাবাদ, আলিগড়, বরেলী, ইলাহাবাদ-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ইন্টা'রনে'ট পরিষেবা ব'ন্ধ করে দেওয়া হয়। রাজ্যের উ'ত্ত'প্ত পরিস্থিতি নিয়ে এ দিন রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।