রবিবার, ১২ জানুয়ারী, ২০২০, ০১:১২:১৮

আধুনিক ওমানের রূপকার সুলতান কাবুসকে হারিয়ে কাঁদছে মানুষ

আধুনিক ওমানের রূপকার সুলতান কাবুসকে হারিয়ে কাঁদছে মানুষ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আধুনিক ওমানের নে'প'থ্যের স্থপতি হিসেবে পরিচিত দেশটির সুলতান কাবুস বিন সাইদ আল সাইদের মৃ'ত্যুতে দেশটিতে নেমে এসেছে শো'কের ছায়া। আরব বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে দী'র্ঘমে'য়াদে ক্ষ'ম'তাসীন এই রাষ্ট্রনায়কের মৃ'ত্যুতে দেশটিতে তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শো'ক ঘোষণা করা হয়েছে। 

ব্যক্তিগত জীবনে অ'বিবা'হিত এই সুলতানের মৃ'ত্যুতে দেশের সাধারণ জনগণের মতো বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতারাও শো'কাহ'ত। শুক্রবার সন্ধ্যায় ক্যা'ন্সার আ'ক্রা'ন্ত সুলতান কাবুসের মৃ'ত্যুতে গ'ভী'র শো'ক প্রকাশ করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধান। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীও শো'ক প্রকাশ করেছেন তার মৃ'ত্যুতে।

শনিবার ভারত ও পাকিস্তানের দুই প্রধানমন্ত্রী য'থাক্র'মে নরেন্দ্র মোদি ও ইমরান খান সুলতান কাবুসের মৃ'ত্যুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে ওমানের জনগণের প্রতি শো'ক জানিয়েছেন। টুইটারে দেয়া শো'ক বার্তায় ইমরান খান ওমানের প্রয়াত সুলতানকে স্বপ্নদ্রষ্টা নেতা হিসেবে অভিহিত করেন। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিকে আধুনিক ও গতিশীল রাষ্ট্র হিসেবে রূপান্তরে তার অবদানের কথা তুলে ধরেন পাক প্রধানমন্ত্রী।

ইমরান খান বলেন, ওমান এক প্রিয় নেতাকে আর পাকিস্তান একজন ঘনিষ্ঠ ও বিশ্বস্ত বন্ধুকে হা'রা'ল। তার আ'ত্মা চিরশান্তিতে থাকুক। এদিকে, একাধিক টুইটে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, সুলতান কাবুস বিন সাইদ আল সাইদের মৃ'ত্যুর খবরে আমি গ'ভী'রভাবে শো'কাহ'ত। তিনি ছিলেন একজন স্বপ্নদ্রষ্টা নেতা এবং রাষ্ট্রনায়ক; যিনি ওমানকে আধুনিক এবং সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে রূপান্তর করেছেন। 

তিনি আমাদের এই অঞ্চল এবং বিশ্বের জন্য শান্তির আলোকবর্তিকা ছিলেন। প্র'য়া'ত ওমানের এই রাষ্ট্রনায়ককে ভারতের একজন সত্যিকারের বন্ধু বলে অভিহিত করেন নরেন্দ্র মোদি। ভারত এবং ওমানের গতিশীল কৌশলগত অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে সুলতান কাবুস শক্তিশালী নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

নরেন্দ্র মোদি বলেন, আমি তার কাছে থেকে উষ্ণতা ও স্নেহ পেয়েছি তার সব সময় লালন করবো। তার আত্মা শান্তিতে থাকুক। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে ৭৯ বছর বয়সী ওমানের সুলতান কাবুস বিন সাইদ আল সাইদ মৃ'ত্যুব'রণ করেন। আরব বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদে থাকা রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন তিনি।

দেশটির নাগরিকরাও সুলতান কাবুসের মৃ'ত্যুতে গ'ভী'রভাবে শো'কাহ'ত। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে সুলতানের কর্ম নিয়ে স্মৃতিচারণ করে টুইট করছেন। ওমানের এই নেতা প্রায়ই নিজে গাড়ি চালিয়ে চলে যেতেন দেশের কোনও প্রান্তে। সেখানে গিয়ে তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে আলোচনা করতেন; শুনতেন তাদের স'ম'স্যা, স'ম্ভা'বনার কথা।

আব্দুল্লাহ বিন হামাদ আল হার্থি নামে দেশটির এক নাগরিক টুইটারে লিখেছেন, মহান সুলতান কাবুসের মৃ'ত্যুর খবরটি আমি প্রথমে পেয়েছি আমার কান্নারত মায়ের কাছ থেকে। এতিম, অনাথ, নি'পী'ড়িত-সহ সব মানুষের পিতা মা'রা গেছেন। শেইখা নামের অপর এক ওমানি লিখেছেন, তার অনুপস্থিতি মেনে নিতে পারছি না।

১৯৭০ সালে ব্রিটিশদের সহায়তায় অ'ভ্যুত্থা'ন ঘটিয়ে নিজ পিতাকে ক্ষ'ম'তাচ্যু'ত করে ওমানের শাসন ক্ষ'ম'তায় আসেন সুলতান কাবুস। র'ক্তপা'তহী'ন অ'ভ্যু'ত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার পর সং'স্কা'রয'জ্ঞ শুরু করে ওমানকে আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলেন। মধ্যপ্রাচ্যে আঞ্চলিক বিভিন্ন শ'ক্তির ল'ড়াইয়ে সব সময় নিজ দেশকে নি'রপে'ক্ষ অবস্থানে রাখতেন তিনি। 

সুলতান কাবুসের মৃ'ত্যুতে ওমানে তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শো'ক ঘোষণা করা হয়েছে। অবিবাহিত কাবুসের মৃ'ত্যুর পর তার চাচাতো ভাই হাইথাম বিন সাঈদ সুলতান হিসেবে শপথ নিয়েছেন। শপথ নেয়ার পর প্রতিবেশিসহ বিশ্বের সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার অঙ্গীকার করেছেন তিনি।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে