রবিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২০, ১২:২২:৫৮

চর'ম সংঘা'তের মধ্যেই মহাকাশ 'দখলে'র পথে ইরান

চর'ম সংঘা'তের মধ্যেই মহাকাশ 'দখলে'র পথে ইরান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চ'র'ম সং'ঘা'তের রাস্তায় আমেরিকা এবং ইরান। উত্তে'জনার মধ্যেই এবার মহাকাশ 'দখলে'র পথে তেহরান। জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই একেবারে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অত্যাধুনিক স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠাতে চলেছে তেহরান। অত্যা'ধুনিক এই কৃত্রিম স্যাটেলাইটের নাম দেওয়া হয়েছে 'জাফার'। 

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই উপগ্রহ তৈরি করা হয়েছে। ইরানের মহাকাশ সংস্থা আইএসএ এমনটাই তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটি আরও বলেছে, ইরানি বিজ্ঞানীদের দেড় বছরের প্রচেষ্টায় স্যাটেলাইটটি উত্‍ক্ষেপণের জন্য পূর্ণ প্রস্তুত করা হয়েছে। ৯০ কেজি ওজনের এই কৃত্রিম উপগ্রহে রয়েছে চারটি কালার ক্যামেরা। এসব ক্যামেরা ভূপৃষ্ঠের ছবি ধারণ করে তা ভুপৃষ্টে থাকা কন্ট্রোলরুমে পাঠাবে।

গত বছর জানুয়ারিতে ইরানের তৈরি পায়াম স্যাটেলাইটের উৎক্ষেপণ করা হয়। কিন্তু প্রযুক্তিগত বেশ কিছু সম'স্যা থাকায় সেই মিশন ইরানের কাছে ব্য'র্থ হয়। শেষ পর্যায়ে স্যাটেলাইটটি কক্ষপথে পৌঁছতে পারেনি। ফের একবার মহাকাশ দ'খলের ছক ক'ষছে ইসলামি প্রজাতন্ত্র। নতুন জাফার স্যাটেলাইটটি আকার ও ওজনের দিক থেকে পায়াম স্যাটেলাইটের মতো হলেও এতে নতুন কিছু বৈশিষ্ট্য যুক্ত করা হয়েছে। জাফার স্যাটেলাইটের ইমেজ রেজ্যুলেশন হচ্ছে ৮০ মিটার।

ইরান ২০০৯ সালে প্রথম উমিদ বা আশা নামের কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠায়। ইরানি বিজ্ঞানীরা নিজেরাই এটি তৈরি করেন। একেবারে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছে স্যাটেলাইটটি। এরপর ২০১০ সালে মানুষ যেতে পারে এমন মহাকাশযান মহাকাশে পাঠায় তেহরান। এই মহাকাশযান পাঠানোর জন্য কাভেশগার বা অভিযাত্রী-৩ নামের রকেট ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া, ২০১৫ সালে ফজর বা উষা নামে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠিয়েছে ইরান। এটি উঁচুমানের ছবি তুলে তা পৃথিবীতে পাঠাচ্ছে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে