বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০২০, ০৫:৪২:৫৪

সুচিকে কাঠগড়ায় দাঁ'ড় করিয়ে মিয়ানমারকে দো'ষী প্রমাণ করানো কে এই আবুবাকার তাম্বাদু?

সুচিকে কাঠগড়ায় দাঁ'ড় করিয়ে মিয়ানমারকে দো'ষী প্রমাণ করানো কে এই আবুবাকার তাম্বাদু?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দেশটির মুসলিম জনগো'ষ্ঠী রোহিঙ্গাদের ওপর নি'ধ'নযজ্ঞ চালিয়ে তাদের হ'ত্যা করে। বাড়িঘর পু'ড়িয়ে দেয় অনেকের। ধ'র্ষ'ণ, 'লু'ট, জী'ব'ন্ত পু'ড়িয়ে মা'রাসহ নৃশং'সতার শি'কা'র হন রোহিঙ্গারা। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক চা'প স'ত্ত্বেও মিয়ানমার সরকার সেই নি'ধ'নযজ্ঞ ব'ন্ধ করে নি। 

অবশেষে জী'বন বাঁ'চাতে পা'লিয়ে প্রতিবেশি বাংলাদেশে এসে আ'শ্র'য় নেয় কয়েক লাখ রোহিঙ্গা। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত আইসিজেতে এ ঘটনায় মা'মলা করেন গাম্বিয়ার এক মন্ত্রী। দেশটির বিচারমন্ত্রী আবুবাকার তাম্বাদুর মামলায় মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি হেগের আদালতে যেতে বা'ধ্য হয়েছেন। তিনি কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তার দেশের বি'রু'দ্ধে আনা গণহ'ত্যার অভি'যোগ প্রশ্নে বক্তব্য দিতে বা'ধ্য হয়েছেন। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত বৃহস্পতিবার এই গ'ণহ'ত্যার আদেশ দিয়েছে।

যে ব্যক্তিটির উদ্যোগে রোহিঙ্গা নি'ধ'নের বিচার হচ্ছে তার সম্পর্কে জানান আগ্রহ পাঠকের। বিবিসির এক প্রতিবেদনে গাম্বিয়ার বিচারমন্ত্রী আবুবাকারকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাম্বাদুর জন্ম ১৯৭২ সালে। তিনি গাম্বিয়ার রাজধানী বানজুলে বড় হন। তিনি ছিলেন ১৮ ভাইবোনের মধ্যে একজন। তাম্বাদুর পিতার তিন স্ত্রী ছিলেন।

তরুণ বয়সে তাম্বাদু খেলাধুলায় খুব ভালো করেন। ফুটবলে তার দেশের জন্য শিরোপা এনে দিয়েছিলেন। তাম্বাদুর মধ্যবিত্ত পরিবার দেশে একটি প্রাইভেট স্কুল এবং ব্রিটেনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাকে পড়ালেখা করায়। বাবাকে অস'ন্তুষ্ট করার ভ'য়ে তিনি খেলাধুলার স্বপ্ন বা'দ দিয়ে দেন এবং একাডেমিক পথে হাঁটতে শুরু করেন।

আইনের স্নাতক তাম্বাদু বলেন, আমি কখনই আইন নিয়ে পড়তে চাইনি। কিন্তু ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম যে বিষয়টি পড়ার জন্য আমাকে বলা হয়, সেটা ছিল আইনবি'দ্যা। পড়াশোনা শেষ করে তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং একজন সরকারি কৌঁ'সুলি হিসেবে কাজ শুরু করেন। পরে রাজনীতিতে জ'ড়িত হন।

২০০০ সালে এপ্রিল মাসে গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া জাম্মেহর নিরা'পত্তা বাহিনী শান্তিপূর্ণ বি'ক্ষো'ভকা'রীদের ওপর গু'লি করে, এতে ১৪জন শিক্ষার্থী, একজন সাংবাদিক এবং একজন রেডক্রস স্বে'চ্ছাসে'বী নিহ'ত হন। তাম্বাদু দেখতে পান যে, এ ঘটনায় তার ঘ'নি'ষ্ঠ বন্ধুদের বি'রু'দ্ধে অভি'যোগ আনা হচ্ছে এবং নি'র্যা'তন করা হচ্ছে। তখন তিনি আন্তর্জাতিক বিচারের ক্ষেত্রে কাজ করতে শুরু করেন।

এই স্বে'চ্ছা নির্বা'সন তাকে জাতিসংঘের সেই আদালতে কাজ করার সুযোগ এনে দেয়। যেটি রোয়া'ন্ডা গণহ'ত্যার কুশীলবদের বিচার করার জন্য স্থাপিত হয়েছিল। পরে সময়ের পরি'ক্র'মায় তিনি গাম্বিয়ার মন্ত্রী হন। তাম্বাদুর বর্তমান বয়স ৪৭ বছর। বিবিসির প্রতিবেদনে তাম্বাদুর বাংলাদেশ সফর নিয়েও বলা হয়েছে। মামলা করার আগে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শি'বির সফর করেন আবুবাকার তাম্বাদু।

তিনি রোহিঙ্গাদের দু'র্দ'শার চিত্র শোনে স্থির থাকতে পারেননি। মিয়ানমারের সীমা'ন্তের অন্য পাশ থেকেও যেন তিনি গণহ'ত্যার দু'র্গ'ন্ধ টে'র পাচ্ছিলেন। রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর পু'ড়িয়ে দেয়া, মায়ের কোল থেকে শিশুদের ছি'নিয়ে নিয়ে জ্ব'ল'ন্ত আ'গুনে ছুঁ'ড়ে মা'রা, নারীদের ধ'র্ষ'ণ ও সবরকমের নি'র্যা'তনের কথা শুনে ব্য'থিত হন গাম্বিয়ার এই মন্ত্রী।

এই দৃ'শ্যগু'লি তাম্বাদুকে ১৯৯৪ সালে রোয়ান্ডা গণহ'ত্যার ঘটনাগুলোকে মনে করিয়ে দিচ্ছিল, যেখানে আট লাখের বেশি মানুষকে হ'ত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়। এ বিষয়ে তাম্বাদু বলেন, আমি বুঝতে পারলাম, রোহিঙ্গা জা'তিগো'ষ্ঠীকে চি'রত'রে ধ্বং'স করার জন্য এটা মিয়ানমারের সরকারের একটা চে'ষ্টা।'

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে