আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাংলাদেশের বিখ্যাত ব্যান্ডশিল্পী জেমসের গানটির লাইন চীনের ৬ সহস্রাধিক নার্সদের জীবনের সঙ্গে মিলে যাবে, এটা কি কেউ ভেবেছিল? চাকরি বাঁ'চানোর জন্য নিশ্চয়ই কেউ নিজের জীবন দিয়ে দেবে না? জেনেশুনে নিজেকে মৃ'ত্যুর মুখে ঠেলে দেবে না? চীনের এই নার্সরা সেটাই করেছে, যাকে পরিস্কার বাংলায় বলে 'মানবতা'। করোনাভাইরা'সে আ'ক্রা'ন্তদের সেবার জন্য নিজেদের উৎস'র্গ করেছেন এই সেবিকারা।
সংবাদের কাভারে ট্রেনের ভেতরে থাকা যে নার্সটিকে দেখতে পাচ্ছেন, তার নাম হু লিংলিং। করোনাভাইরাসে আ'ক্রা'ন্তদের সেবার জন্য সাংহাইয়ের সেন্ট্রাল হাসপাতাল থেকে আরও অনেক নার্সের সঙ্গে লিংলিংও যাচ্ছেন উহান শহরে। ট্রেনে উঠে কাঁচের জানালার এপাশে থাক স্বামীকে বিদায় জানাচ্ছেন তিনি। কাঁচের দূর্গ ভে'দ করে যেন শেষবারের মতো প্রিয় মানুষটির স্পর্শ পাওয়ার চেষ্টা। বেঁচে থাকলে দেখা হবে- বিষয়টা অনেকটা এমন! করোনাভাইরা'স যে তাকেও ছা'ড়বে না!
ভ'য়ংক'র করোনাভাইরা'সে আ'ক্রা'ন্ত হয়ে চীনে ইতোমধ্যেই ১৭০ জন মৃ'ত্যুবরণ করেছেন। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, দেশটিতে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) পর্যন্ত করোনাভাইরা'সে সং'ক্রমি'ত রোগীর সংখ্যা ৭ হাজার ৭১১ জন। এই ভ'য়া'বহ দু'র্যোগ ঠে'কানোর জন্য সারা দেশ থেকে ৬ হাজার মেডিক্যাল কর্মীকে উহান শহরে পাঠিয়েছে চীন সরকার। নার্স লিংলিং তাদের অন্যতম।
করোনাভাইরা'স মানুষ থেকে মানুষে ছ'ড়িয়ে পড়ছে! শ্বাস-প্রশ্বাস, খাবার এমনকী হ্যা'ন্ড'শে'ক করার মাধ্যমেও দ্রু'ত ছড়াচ্ছে এই ভাইরা'স। এই ভাইরা'স ঠে'কাতে এখনও কোনো টিকা বা চিকিৎসা আবিস্কৃ'ত হয়নি। প্রচলিত ব্যবস্থাতেই চলছে রোগীদের চিকিৎসা। রোগীদের সেবায় মৃ'ত্যুভ'য় তুচ্ছ করে কাজ করে যাচ্ছেন ডাক্তার-নার্সরা। এই ৬ হাজার ডাক্তার-নার্স থেকে সবাই করোনাভাইরা'সের হাত থেকে বেঁ'চে ফিরতে পারবেন কিনা, কেউ জানে না!