আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নাগরিকত্ব সংশো'ধনী আইন (সিএএ) এবং প্রস্তাবিত জাতীয় নাগরিক পঞ্জির (এনআরসি) বি'রু'দ্ধে কলকাতার পার্ক সার্কাস ময়দানে প্রতিবা'দ জানাতে গিয়ে হৃ'দরোগে আ'ক্রা'ন্ত হয়ে এক নারীর মৃ'ত্যু হয়েছে।
শনিবার মধ্যরাতে হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন সমীদা খাতুন (৫৭)। রাত একটার দিকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় পার্শ্ববর্তী ইসলামিয়া হাসপাতালে। পরে সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় চিত্তরঞ্জন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু সেখানেই হৃ'দরো'গে আ'ক্রা'ন্ত হয়ে শেষ নিঃ'শ্বা'স ত্যা'গ করেন তিনি।
গত মাসে ভারতের সংসদে নতুন নাগরিকত্ব আইন পাস হওয়ার পরে ২৭ দিন ধরে মধ্য কলকাতার পার্ক সার্কাসে বিক্ষো'ভ করছেন কয়েকশ' মানুষ। কখনো বৃষ্টির মধ্যে, কখনো বা কনকনে ঠা'ণ্ডায় খোলা আকাশের নিচে জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে শিশু, নারীরা স্বাধীনতার স্লো'গান দিচ্ছেন। তাদেরই একজন ছিলেন সমীদা খাতুন।
সমীদার মৃ'ত্যু পরই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মো'দী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে দা'য়ী করেছে আন্দো'লনরত মানুষ। সমীদাকে শহীদ আখ্যায়িত করে নুরজাহান ওমর নামে ৬০ বছর বয়সী এক আন্দোলনকারী বলেন, 'প্রতিদিন মেয়ের সঙ্গে এই প্রতিবাদী মঞ্চে আসতেন সমীদা। গতকাল রাতে হঠাৎ করে অ'সু'স্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তার মৃ'ত্যু হয়।'
তার বক্তব্য 'সিএএ-এর বি'রু'দ্ধে প্রতিবা'দ দেখাতে গিয়ে সমীদার মৃ'ত্যু হয়েছে। আমরা তার মৃ'ত্যু ভুলবো না। আমরা এই শো'কা'র্ত পরিবারের পাশে আছি।' এদিকে সময় যত গড়াচ্ছে, ততই ভিড় বাড়ছে পার্ক সার্কাসে। প্রতিবাদী কণ্ঠও আরও জো'রদার হচ্ছে। কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শয়ে শয়ে আসছেন নারী প্র'তিবা'দীরা।
নারীরা হুঁ'শিয়ারি দিয়েছেন এই আইন প্র'ত্যাহার না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আন্দোলনরত এই নারীদের সঙ্গে থাকার একাত্মতা জানিয়েছে কংগ্রেস, সিপিআইএমসহ বিরো'ধী দলগুলো। তবে কলকাতার পার্ক সার্কাসই নয়, কলকাতা থেকে প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার দূরে প্রতিবা'দের স্বর শাহিনবাগেও।