বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২০, ০২:৫২:২০

করোনাভাইরাস আত'ঙ্কে হালাল খাবারে ঝুঁ'কছে বিশ্ব

করোনাভাইরাস আত'ঙ্কে হালাল খাবারে ঝুঁ'কছে বিশ্ব

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যু'দ্ধ, দা'ঙ্গা-হা'ঙ্গামার ভ'য় বাদ দিয়ে পুরো বিশ্ব কাঁ'পছে করোনা আত'ঙ্কে। চীনের মাত্র একটা প্রদেশে হাজার খানেক মানুষের প্রাণ কে'ড়ে নেওয়া করোনা গোটা বিশ্বের মানুষের জীবন-যাপনের ধ'রন, খাদ্যাভ্যাস সবকিছুই ব'দলে দিচ্ছে। যেই মানুষটা কুকুর, বিড়াল, ইদুর, বাদুড়, সেদ্ধ, আধা সেদ্ধ কিংবা কাঁচা সবকিছুই গপাগপ খেয়ে সা'বাড় করতো, সেও এখন কিছু মুখে তোলার আগে দুবার ভাবছে যে খাবারটা স্বাস্থ্যকর কিনা। এমনকি করোনার আত'ঙ্কে অনেকেই ছাড়তে বসেছে চাইনিজ খাবারও।

করোনাভাইরাস ছ'ড়িয়ে পড়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি ভাইরাল হয়েছে চীনাদের খাদ্যাভ্যাস। বিভিন্ন ভিডিওতে দেখানো হচ্ছে, চীনারা সর্বভু'ক বলেই তারা ভ'য়ঙ্ক'র করোনায় আক্রা'ন্ত হচ্ছে। সামাজিক মাধ্যমে ছ'ড়িয়ে পড়া আরেকটি বিষয় হলো যে, হালাল খাবার খাওয়ার কারণে উইঘুরসহ চীনা মুসলিমদের করোনা স্প'র্শ করতে পারছে না। এজন্য ভ'য় পেয়ে অনেকেই অস্বা'স্থ্যকর জীবজ'ন্তুর মাংস খাওয়া ছে'ড়ে দিয়ে হালাল খাবারে আকৃ'ষ্ট হচ্ছে।

বিজ্ঞান বলছে, অস্বা'ভাবিক যত খাওয়া দাওয়া সেখান থেকেই ভ'য়াব'হ সব অসু'খগুলো ছ'ড়ায়। চীনের উহান শহরের একটি বন্য ও সামুদ্রিক প্রানীর বাজার থেকে করোনা ভাইরাস ছ'ড়িয়েছে বলে ধা'রণা করা হচ্ছে। করোনার আঁ'তুড়ঘর বলে পরিচিত সেই বাজারটি করোনা ম'হামা'রি আকা'র ধা'রণ করার আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে চীনের প্রায় সব প্রদেশেই অস্বা'স্থ্যকর পশু পাখি খাওয়াও প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। বিশ্বের অন্য দেশগুলোরও একই অবস্থা।

সাম্প্রতিক কয়েকটি বাজার গবেষণায় দেখা গেছে, করোনা ছ'ড়ানোর পর গো'টা বিশ্বেই পশু পাখি খাওয়ার হার প্রায় অর্ধেকে নে'মে এসেছে। বিশ্বের প্রায় সব দেশের রেস্টুরেন্টেই কয়েক মাস আগেও চাহিদার শীর্ষে ছিল চাইনিজ খাবার। অথচ এখন মানুষ চাইনিজ খাবার থেকে মুখ ফি'রিয়ে নিচ্ছে। ভারতেও চাইনিজ খাবার ভী'তি জেঁ'কে বসেছে। এর বদলে রেস্টুরেন্টপ্রেমীরা বেছে নিচ্ছে নিজেদের দেশের ছোলা বাটোরা বা দোসা। অনেক রেস্টুরেন্ট আর ফুড শপ আবার প্রবেশ পথের সামনে বড় করে হালাল খাবারের বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতা আকৃ'ষ্টের চেষ্টা করছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হালাল বা হারাম খাবার নয়, প্রত্যেকটা মানুষের জন্য যেটা দরকার সেটা হলো স্বাস্থ্যকর খাবার। সব প্রাণীর মাংস স্বাস্থ্যকর নয়। তাছাড়া মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে পরিচ্ছ'ন্নতা বজায় রাখাটাও খুব জরু'রি। মাংসটা ঠিকভাবে কাটা হলো কিনা, অস্বা'স্থ্যকর অংশগুলো ফে'লে দেওয়া হলো কিনা সেটা নিশ্চিত হয়েই খাবার রান্না করা উচিৎ। রান্নার ক্ষেত্রে খাবারটা সম্পূ'র্ণভাবে সি'দ্ধ হওয়াটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আধাসি'দ্ধ বা কাঁচা খাবারে জীবা'নু থেকে যায়। এই বিষয়গুলোই হালাল খাবার আর স্বাস্থ্যকর খাবারের মধ্যে একটা যোগসূ'ত্র তৈরি করেছে।

চীনের উইঘুর মুসলিমরা করোনায় আক্রা'ন্ত না হওয়ার বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুসলিমরা অস্বা'ভাবিক খাদ্যাভ্যাসে অভ্য'স্ত নয় বলেই করোনায় আক্রা'ন্ত হচ্ছে না এ কথাটা ভুল নয়। তবে এটাও সত্য যে, চীনের হুবেই প্রদেশের বাইরে করোনা আক্রা'ন্তের সংখ্যা কম। এজন্যেও উইঘুররা হয়তো এখন পর্যন্ত সুস্থ আছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, সব খাবারে আত'ঙ্কি'ত হওয়াটা যেমন যৌ'ক্তিক কোনো কথা নয়। ঠিক তেমনি সর্বভু'কের মতো সব খাবার হাপু'স হুপু'স খাওয়াটাও বুদ্ধিমানের কাজ নয়। মোট কথা অস্ব'ভাবিক যেকোনো খাদ্যাভাসই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষ'তির কারণ। সেটা ভ'য়াব'হ কোনো ভাইরাসের ক্ষেত্রে যেমন প্রযোজ্য, তেমনি অন্য যেকোনো ধরনের অসুখের জন্যও এ বিষয়টি মেনে চলা উচিৎ।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে