আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনে মহা'মারি আকার ধারন করা বাদুড় থেকে ছড়ানো করোনা ভাই'রাসের আ'ত'ঙ্কের মধ্যেই ইঁদুর থেকে ছড়িয়ে পড়া লাসা ভাই'রাস জ্ব'রে আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় ৭০ জনের মৃ'ত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দেশটির রো'গ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (এনসিডিসি) বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে আল-জাজিরা।
এনসিডিসি জানিয়েছে, নাইজেরিয়ার তিনটি প্রদেশে লাসা জ্ব'র ভয়া'বহ রূপ নিয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশটির তিন প্রদেশে এ রো'গে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া অন্ডো, ডেলটা ও কাদুনা রাজ্যে চারজন স্বাস্থ্যকর্মী নতুন করে লাসা জ্ব'রে আ'ক্রা'ন্ত হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝির তুলনায় নাইজেরিয়ায় লাসায় আ'ক্রা'ন্তের সংখ্যা বেড়েছে।
এখন পর্যন্ত মোট ৪৭২ জনের লাসা জ্ব'রে আ'ক্রা'ন্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। চিকিৎসকরা বলছেন, খাবার, ম'লমূ'ত্র ও গৃহস্থালি জিনিসপত্রের মাধ্যমে মানুষের শরীরে লাসা জ্ব'র ছড়ায়। ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে এই জ্বর প্রা'ণঘা'তী নয়। এতে আ'ক্রা'ন্ত হলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি মাথাব্য'থা, মুখে ঘা, মাংসপেশিতে ব্য'থা ও ত্বকের নিচে র'ক্তক্ষ'রণ হয়।
এছাড়া এই জ্ব'রে আ'ক্রা'ন্ত রোগীর অনেক সময় হার্ট ও কি'ড'নি অ'চল হয়ে যায়। লাসা জ্ব'রে আ'ক্রা'ন্ত রোগীকে ৬ থেকে ২১ দিন পর্যন্ত আলাদা স্থানে রাখতে হয়। কারণ এই রো'গে আ'ক্রা'ন্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে গেলেই অন্যদের মধ্যে সং'ক্র'মিত হওয়ার আ'শ'ঙ্কা রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, লাসা জ্ব'রে আ'ক্রা'ন্ত হওয়ার প্রথম দিকে চিকিৎসার জন্য এন্টি'ভাই'রাল রিবাভিরিন ব্যবহার করা যেতে পারে।
আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল দেশ নাইজেরিয়ায় মাত্র ৫টি ল্যাবরেটরি স্থাপন করে এই রোগ শ'না'ক্তকরণ পরীক্ষা চালানো হচ্ছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। ১৯৬৯ সালে উত্তর নাইজেরিয়ার লাসা শহরে প্রথম শ'না'ক্ত করা হয় বলে এ রোগের নাম দেয়া হয়েছে লাসা। ইবোলা ও মারবার্গ ভাই'রাসের গোত্রভুক্ত লাসা জ্ব'র।
ওদিকে, করোনা ভাই'রাস মহা'মারী আকার নিয়েছে চীনে। এরই মধ্যে এই ভাই'রাসে প্রা'ণ গেছে ১৪৮৩ জনের। আ'ক্রা'ন্ত হয়েছেন ৬৫ হাজার মানুষ। এর মধ্যে যেখান থেকে করোনা ভাই'রাস ছড়িয়ে পড়েছে কেবল সেই উহানেই আ'ক্রা'ন্ত হয়েছেন প্রায় ৫২ হাজার মানুষ। ভাই'রাসটি ইতোমধ্যে বিশ্বের কমপক্ষে ২৬টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।