বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২০, ০২:০৭:৫৬

যে কারণে শিশুদের উপর প্রভাব ফেলছে না করোনাভাইরাস

যে কারণে শিশুদের উপর প্রভাব ফেলছে না করোনাভাইরাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীন থেকে ছ'ড়িয়ে পড়া প্রাণঘা'তী করোনাভাইরাসে মৃ'তের সংখ্যা বেড়ে দুই হাজার জনে দাঁড়িয়েছে। এরমধ্যে হুবেই প্রদেশে নতুন করে আক্রা'ন্তদের মধ্যে মৃ'ত্যু হয়েছে ১৩২ জনের। এছাড়া বিশ্বে আক্রা'ন্তের সংখ্যা ৭৫ হাজার ছাড়িয়েছে। 

তবে এমন মৃ'ত্যুর মি'ছিলে সুখের সংবাদ হলো- এসব আক্রা'ন্তদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যা খুবই কম। আর শিশুদের মৃ'ত্যুর খবরও পাওয়া যাচ্ছে না তেমন।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি জন্মের মাত্র ৩০ ঘণ্টা পর এক নবজা'তকের করোনাভাইরাসে আক্রা'ন্ত হয়ে চিকিৎসা নেয়ার খবর প্রচারিত হয় আর্ন্তজাতিক মিডিয়ায়। এরপর আর কভিড-১৯ এ কোনো শিশুর মৃ'ত্যু হয়েছে বলে খবর জানা যায়নি।অথচ নভেল করোনাভাইরাসে আক্রা'ন্ত এবং মৃ'তদের তালিকায় বড় সংখ্যায় শিশুদের থাকার কথা ছিল। কিন্তু বাস্তবে তা হচ্ছে না।
বিশেষজ্ঞরা এর রহ'স্য খুঁ'জে বে'র করার চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে করোনাভাইরাসের সং'ক্র'মণ নিয়ে সর্বশেষ গবেষণাটি যুক্তরাষ্ট্রের মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

প্রা'ণঘা'তী এ ভাই'রাসের আঁতু'ড়ঘর উহানের জিনইনতান হাসপাতালের রো'গীদের নিয়ে বিশ্লে'ষণ করে বিশেষ কিছু ত'থ্য পেয়েছেন গবে'ষকরা। ওই বিশ্লে'ষণে দেখা গেছে, ভাইরাসে আক্রা'ন্তদের মধ্যে অর্ধেকেরই বয়স ৪০ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে। ৩৯ বছরের কম বয়সী রোগী অনুপা'ত মাত্র ১০ শতাংশ। আর ১৮ বছরের নিচে শিশুদের মধ্যে ভাইরাসটির সং'ক্র'মণের ঘটনা বিরল।

এমন পরিসং'খ্যানে প্রশ্ন উঠেছে, ‘ভাইরাসটি শিশুর শরীরে সং'ক্র'মিত হচ্ছে না কেন? এ নিয়ে বিজ্ঞানীরা অনেক ধ'রনের তত্ত্ব' সামনে রাখলেও এ বিষয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কাছে কোনো সুনি'র্দিষ্ট জবাব নেই।’

এ বিষয়ে ভাইরো'লজি'স্ট অধ্যাপক ইয়ান জোনস বলেন, ‘এমন প্রশ্নের সুস্প'ষ্ট জবাব এখনো দিতে পারছি না আমরা। এখন পর্যন্ত আমাদের বলতে হচ্ছে -হয় শিশুরা সং'ক্র'মণ এ'ড়িয়ে যাচ্ছে, নয়তো তারা মা'রাত্ম'ক সং'ক্র'মণের শি'কার হচ্ছে না।’ তাই বলে করোনাভাইরাসের সং'ক্র'মণ থেকে শিশুরা মু'ক্ত সঠিক নয় বলেন জানান ইয়ান জোনস।

তিনি বলেন, ‘শিশুরা এ ভাই'রাসে মৃ'দুভাবে আক্রা'ন্ত হচ্ছে। এতে তাদের মধ্যে সেভাবে রো'গের উপস'র্গ দেখা যাচ্ছে না। তারা মা'রাও যাচ্ছে না। চিকিৎসকের কাছেও যেতে হচ্ছে না তাদের। আর গেলেও হাসপাতালে ভর্তি করার দরকার হয় না। ফলে পরিসং'খ্যানে তাদের সংখ্যা স্থান পায়নি।’

অধ্যাপক ইয়ানের বক্তব্যের সহ'মত জানিয়েছেন ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ক্লিনিক্যাল প্রভাষক নাথালি ম্যাকডারমট।

তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কভিড-১৯ নিয়ে পরী'ক্ষা-নীরি'ক্ষার ফলাফলে আমরা দেখেছি, ভাই'রাসটির মো'কাবেলায় পাঁচ বছরের বেশি বয়সী শিশু-কিশোরদের দেহ বেশ প্র'তিরো'ধ ক্ষম'তাসম্প'ন্ন। ভাই'রাসটি তাদের শরীরে সেভাবে কাজ করতে পারে না। এ কারণে সেসব শিশু আক্রা'ন্ত হলেও সং'ক্র'মণর কোনো উপস'র্গ দেখা যায় না। অনেক শিশুর অভিভাবক হয়তো টে'রই পান না যে, তাদের সন্তান করোনাভাইরাসে আক্রা'ন্ত হয়েছে।’

এছাড়াও অন্য একটি বিষয় তুলে আনেন ম্যাকডারমট। ভাই'রাসটি ছ'ড়িয়ে পড়া মুহূ'র্তে চীনে শিশুদের নববর্ষের ছুটি থাকায় তারা কম সং'ক্র'মিত হয়েছে বলেও মত দেন তিনি।এসব বিশ্লে'ষণ শেষে বিজ্ঞানীরা একমত যে, চলতি প্রা'দুর্ভা'ব নিয়ে আরো বেশি গবে'ষণার পর হয়তো এ বিষয়ে একটি স্প'ষ্ট চি'ত্র পাওয়া যাবে।সূত্র: বিবিসি বাংলা

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে