বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২০, ১০:০৯:১১

দিল্লিতে স'হিং'সতায় আ'ক্রা'ন্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো সেই বিচারপতিকে ম'ধ্যরাতে বদ'লী

দিল্লিতে স'হিং'সতায় আ'ক্রা'ন্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো সেই বিচারপতিকে ম'ধ্যরাতে বদ'লী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দিল্লিতে গত দুদিনের সহিংস প'রিস্থি'তিতে আ'ক্রা'ন্ত মানুষ রী'তিমতো অ'সহা'য় হয়ে পড়েছেন। উত্তর-পূর্ব দিল্লির মুস্তাফাবাদে গো'ষ্ঠী সংঘ'র্ষে বহু আ'হ'ত স্থানীয় ছোট্ট আল হিন্দ হাসপাতালে ভ'র্তি ছিলেন। ব'হু চে'ষ্টা স'ত্ত্বেও তাদের এলাকার বাইরে এনে বড় হাসপাতালে ভর্তি করা যায়নি। টাইমস অব ইন্ডিয়া, আনন্দবাজার, হিন্দুস্তান টাইমস

পুলিশের থেকে কোনও সাহায্য না-পেয়ে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টায় বিচারপতি মুরলীধরের বাড়িতে যান চিকিৎসক ও মানবাধিকার কর্মীরা। তাদের আ'র্জি শুনতে রাজি হন বিচারপতি মুরলীধর। রাত পৌনে ২টার সময় দিল্লি পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

বুধবার দিল্লির প'রিস্থি'তি নিয়ে মামলার শুনানির সময় স'হিং'সতার কারণে ঘরছাড়া মানুষের জন্য উপযুক্ত আশ্রয়ের ব'ন্দোবস্ত করারও নির্দেশ দেন এই বিচারপতি।

মঙ্গলবার মাঝরাত থেকে বিচারপতি মু'রলীধরের ভূমিকা দেখার পরে আইনজীবীরাই বলছিলেন, কার্যত দিল্লির মানুষের ‘র'ক্ষাক'র্তা’ হয়ে উঠলেন তিনি। ঘটনাচ'ক্রে কলেজিয়ামের সুপারিশ মেনে বুধবার রাতেই বিচারপতি মুর'লীধরকে বদ'লি করে দিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। বুধবার মাঝ রাতে এই সং'ক্রা'ন্ত সরকারি বি'জ্ঞপ্তি জারি হয়। একই সময়ে ব'দলি করা হয়েছে দিল্লির পাঁচ আইপিএস অফিসারকেও।

দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি এস মুরলীধ'রকে গত সপ্তাহেই পাঞ্জাব-হরিয়ানা হাইকোর্টে বদ'লির সুপারিশ করেছিলো সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম। সেই বদলির প্র'তিবাদে ক'র্মবিরতি পালন করেন দিল্লি হাইকো'র্টের আইনজীবীরা। দিল্লি হাইকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশন ক'ড়া ভাষায় তার ব'দলির সি'দ্ধান্তের নি'ন্দা করে বলে, এর ফলে প্রতিষ্ঠানই ক্ষ'তিগ্রস্ত হবে।

দিল্লি হাইকোর্ট থেকে বিচারপতি মুরলীধরের বদলির প্রসঙ্গ এর আগেও উঠেছিলো। ২০১৮-র ডিসেম্বর ও ২০১৯-এর জানুয়ারিতে। দু’বারই রা'জি হয়নি কলেজিয়াম। দিল্লি হাইকোর্টের বহু আইনজীবীরই মতে, বিচারপতি মুরলীধর অত্য'ন্ত দ'ক্ষ এবং বহু মামলাতেই সা'হসী রায় দিয়েছেন। যার মধ্যে রয়েছে কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমারের বি'রুদ্ধে দায়ের হওয়া ৮৪-র শিখ-বি'রোধী দা'ঙ্গা মামলা এবং সম'কামি'তাকে ফৌজদারি অ'পরাধের ত'কমা থেকে মুক্ত করার রায়।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে